সেরা চারের লড়াইয়ে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছিল আগেই। তবে বাকি একটি জায়গার জন্য পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড আর আফগানিস্তানের মধ্যে চলছিল রীতিমত ত্রিমুখী লড়াই। তবে, ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের কাছে শ্রীলঙ্কার অসহায় আত্মসমর্পণের কারণে পাকিস্তানের জন্য সেমির পথ এখন অসম্ভবের নামান্তরই হয়ে দাঁড়াল।
বৃহস্পতিবার ডু অর ডাই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য ২৩ ওভার ২ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা। বড় জয়ে নিউজিল্যান্ডের রানরেট বেড়ে যাওয়ায় কপাল পুড়েছে পাকিস্তানের। তবে লঙ্কানদের এমন ভরাডুবিতে লাভ হয়েছে বাংলাদেশের।
নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের। কারণ, কিউইদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের হারে রানরেটে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
তবে বাংলাদেশের লাভ হলেও শ্রীলঙ্কার হারে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে পাকিস্তানের। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে এখন তাদের পেরোতে হবে প্রায় অসম্ভব এক সমীকরণ। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের জন্য সেই সমীকরণটা হলো- ১১ নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যদি প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান, তবে তাদের জিততে হবে ২৮৭ রানের ব্যবধানে। আর পাকিস্তান যদি পরে ব্যাট করে, তাহলে তাদের ইংল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্য টপকাতে হবে ১৬ বলের মধ্যে। যা বাস্তবতা নিরিখে এক প্রকার অসম্ভবই বটে।
রাউন্ড রবিন লিগের ৯ ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের রানরেট +০.৭৪৩। আর ৮ ম্যাচে পাকিস্তানের রানরেট +০.০৩৬। সেমিফাইনালের দৌড়ে থাকা আফগানিস্তানের নেট রানরেট রয়েছে আরো দূরে, -.৩৩৮। নিউজিল্যান্ডের জয়ে আফগানিস্তানের অনানুষ্ঠানিক বিদায়ই ঘটেছে বলা যায়। আর সমীকরণে টিকে থাকলেও পাকিস্তানের জন্যও সেটি টপকানো প্রায় অসম্ভব।
রাউন্ড রবিন লিগ শেষের ২ দিন আগে তাই ৪ সেমিফাইনালিস্ট এক প্রকার চূড়ান্তই হয়ে গিয়েছে বলা যায়। চতুর্থ দল হিসেবে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল গেলে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ভারত। আর অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়া।