অধিনায়ক শান্তর প্রথম বিশ্বকাপের ফিরিস্তি

বিশ্বকাপ শেষে প্রশ্ন উঠেছে শান্তকে নিয়ে, অধিনায়ক হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে কতটুকু সফল হলেন তিনি সেটা নিয়ে কৌতূহলের কমতি নেই।

নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেললো বাংলাদেশ। তাই তো বিশ্বকাপ শেষে প্রশ্ন উঠেছে তাঁকে নিয়ে, অধিনায়ক হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে কতটুকু সফল হলেন তিনি সেটা নিয়ে কৌতূহলের কমতি নেই। যদিও এমন প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি হ্যাঁ বা না বলার সুযোগ নেই।

সত্যি বলতে, ইতিবাচক আর নেতিবাচক দুই দিকই রয়েছে এই ব্যাটারের অধিনায়কত্বে। সদ্য সমাপ্ত টুর্নামেন্টে তাঁর নেতৃত্ব গুণে কখনো মুগ্ধ হয়েছেন সমর্থকেরা, কখনো আবার বিরক্তও হয়েছেন।

ইতিবাচক ক্ষেত্রে অবশ্য শান্তর ম্যান ম্যানেজম্যান্ট প্রশংসনীয় ছিল। এর ফলে প্রথম ম্যাচ থেকেই দলের শরীরী ভাষা প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ছিল; খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছিল অনেক। এছাড়া তাঁর বোলিং চেঞ্জ, ফিল্ড সেটআপ দুর্দান্ত ছিল।

তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর ভরসা করাটা এই তারকার অধিনায়কত্বের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিবদের ওপর সবসময়ই বাড়তি ভরসা করেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে এই বাঁ-হাতির ব্যক্তিগত ফর্ম একেবারে হতাশ করেছে ভক্তদের। সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি বলার মত কিছু করতে পারেননি অধিকাংশ সময়। দলের নেতা যদি ছন্দহীন থাকেন তাহলে বাকিদের অনুপ্রাণিত করাটা কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া টসে জিতে প্রতিবারই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়াটাও দৃষ্টিকটু লেগেছে।

এখন দেখার বিষয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নাজমুল শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখা হয় কি না। যদি উত্তরটা হ্যাঁ-বোধক হয় তাহলে তো কথা নেই। কিন্তু যদি না হয় তাহলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ২০২৬ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করার জন্য এখনি আদর্শ সময়।

সেক্ষেত্রে অবশ্য নতুন অধিনায়ক কে হবে সেটা ভাবনার বিষয়, স্কোয়াডে থাকা কেউই সেই অর্থে অধিনায়কত্বের জন্য উপযুক্ত নন। তবে নুরুল হাসান সোহানকে চাইলে ভরসা করা যায়, ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত মুখ তিনি। এছাড়া জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। তবে এই পরিবর্তনের সম্ভাবনা কমই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...