এশিয়া কাপে পাকিস্তান যেন উড়ছে; উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে বিধ্বস্ত করার পর সুপার ফোর রাউন্ডে বাংলাদেশকেও দাঁড়াতে দেয়নি তাঁরা। দুই ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল। তবে অপূর্ণতা রয়ে গিয়েছে ঠিকই; বৃষ্টির কারণে ভারতকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি। সেই অপূর্ণ ইচ্ছে পূর্ণ করতে আবারো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হবে ‘ম্যান ইন গ্রিন’।
বহুল প্রত্যাশিত এই লড়াইয়ে পাকিস্তানের একাদশ কেমন হবে, কোন পরিবর্তন হবে কি না সেসব নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। তবে কোন ইনজুরি ইস্যু না থাকলে দলটির একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা একেবারে কম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনজন জেনুইন বোলার, একজন লেগ স্পিনার, একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার এবং ছয়জন ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। সবকিছু ঠিক থাকলে ভারতের বিপক্ষেও দেখা যাবে এমন কম্বিনেশন। মূলত বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই শাহীন, নাসিমদের পাশাপাশি খেলানো হবে ফাহিম আশরাফকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষেও দারুণ বোলিং করেছেন এই পেসার। তেমন গতি না থাকলেও সিম মুভমেন্টের সাহায্যে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলেন তিনি; টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে আউট করে শতরানের জুটিও ভেঙেছিলেন এই বামহাতি। তাই তো বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধেও তাঁর উপর আস্থা রাখতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
অন্যদিকে ভারতীয় দলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেশি হওয়ায় মোহাম্মদ নওয়াজের কথাও ভাবতে পারে পাকিস্তান। তবে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেললেও আহামরি কিছু করতে পারেননি তিনি, মিডল ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া, ঈশান কিষাণরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছিলেন তাঁর ওভার গুলো। সেজন্যই হয়তো নওয়াজের এবার পাক-ভারত ম্যাচে মাঠে নামা হবে না।
পাকিস্তানের একাদশে আর কোন পজিশনেই পরিবর্তনের সুযোগ নেই। ওপেনিংয়ে ইমাম উল হক, ফখর জামান নিশ্চিত। তিনে এবং চারে খেলবেন যথাক্রমে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাটিং অর্ডারে এরপর আছেন আঘা সালমান, ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খানেরা।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের দুশ্চিন্তার কোন কারণই নেই। দলটির পেস বিভাগ এখন ফর্মের চূড়ায় আছে, স্পিনার শাদাব খান এখন পর্যন্ত কিছু করতে না পারলেও ব্যবধান গড়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে তাঁর মাঝে। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ না থাকলে পার্ট টাইমার হিসেবে ইফতেখার, সালমানদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।
সবমিলিয়ে পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ অনেকটা এমন – ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, আঘা সালমান, ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ।