আইসিসি’র ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে তিনি নাম্বার ওয়ান ব্যাটার। বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে তাই তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশাটা ছিল একটু বেশিই। কিন্তু পাকিস্তানের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রায় এখন পর্যন্ত প্রত্যাশা তো মেটাতেই পারেননি, উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়েছেন বাবর আজম।
বাবরের এমন অফফর্মের বিপরীতে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনার জোয়ার বইছে চারদিকে। এমনকি এক সময়কার সতীর্থ ইমাদ ওয়াসিমও এবার ছাড় দিলেন না বাবরকে। বাবরের সামর্থ্য নিয়ে বড়সড়ো এক প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাবর আর কোনো বড় ম্যাচে পারফর্ম করেননি।
এ নিয়ে পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বৈশ্বিক আসরে চাপ থাকবেই। তবে সেটা জয় করেই আপনাকে সামর্থ্যের প্রতিদান দিতে হবে। আমার মনে হয়, সর্বশেষ কোনো বড় ম্যাচে বাবর পারফর্ম করেছে ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ঐ ম্যাচে সে সেঞ্চুরি করেছিল। এরপর এখন পর্যন্ত পাকিস্তান বড় কোনো ম্যাচ জেতেনি। বাবরও পারফর্ম করেনি৷ এটা সমালোচনা নয়, এটা সত্য। আর সেটা মেনে নিতে হবে আপনাকে।’
অথচ বিশ্বকাপ শুরুর আগেও দারুভ ছন্দে ছিলেন বাবর। ১৫ ম্যাচের ১০ টিতেই পেরিয়েছিলেন ফিফটি। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাবরের এমন সফলতাকে মেনে নিলেও ইমাদ মনে করেন, বড় ক্রিকেটারদের পারফর্ম করার জায়গা হলো বৈশ্বিক আসর৷
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইসিসি র্যাংকিংয়ের ১ নম্বর ব্যাটার সে। তাই দলের সিংহভাগ ম্যাচ জেতানোর দায়িত্বটা বাবরেরইর উপরেই বর্তায়। এখন তাতে সে ব্যর্থ হলে, প্রশ্ন তো উঠবেই। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাবরের মধ্যে বোলারদের উপর দাপট দেখানোর সামর্থ্য আছে। এখন তাঁকে সেটিই আবার দেখাতে হবে৷’
বিশ্বকাপে পাকিস্তান সুখকর অবস্থায় নেই। এই অবস্থায় দলের অধিনায়কের ওপর প্রশ্ন যে উঠবে – সেটা খুবই স্বাভাবিক। বাবর নিজেই চাইলে ব্যাট হাতে জবাবটা দিতে পারেন, হতে পারেন ম্যাচের নায়ক। তবে, এর জন্য সময়ের অপেক্ষা করার বিকল্প নেই।