লিটনের আউটটা যদি ছক্কা হত…

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে থাকার পরেও নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারের ব্যাটে ১৪২ রানের শক্ত পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ৪ রান! আন্দ্রে রাসেলের ইয়োর্কার থেকে কোনো রান আদায় করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

১৪ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে কোনো ম্যাচে জয় পাওয়াটা যেনো সত্যি হতে চলছিলো। কিন্তু তীরে এসে তরি ডুবাটা বাংলাদেশের জন্য যে নতুন নয়! সেটিই হলো। শেষ বলে ৩ রানের হার! জয়ের আশা দেখিয়ে আবারো স্বপ্নভঙ্গ। অপরদিকে বাংলাদেশকে তিন রানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে থাকার পরেও নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারের ব্যাটে ১৪২ রানের শক্ত পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ৪ রান! আন্দ্রে রাসেলের ইয়োর্কার থেকে কোনো রান আদায় করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ম্যাচ শেষে নিকোলাস পুরান জানালেন অভিজ্ঞ বোলারদের উপর নিজেদের বিশ্বাসের কথা। অভিজ্ঞতার কারণেই এই ম্যাচে ক্যারিবীয়রা জয় পেয়েছে সেটা মানেন পুরান।

পুরান বলেন, ‘সবাইকে মানিয়ে নেয়াটা খুব কঠিন কিন্তু দলের সবাই আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে। দূর্ভাগ্যবশত আমরা সব ক্যাচ নিতে পারিনি, তবে বিশ্বাসটা ছিলো। আমরা ম্যাচ জিততে আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি। আমরা চেজকে ব্যবহার করিনি কারণ আমাদের অভিজ্ঞ বোলারদের উপর বিশ্বাস ছিলো। আকিল দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এই উইকেটে ব্যাক অব লেন্থে করাটা খুব কঠিন। রাসেল অসাধারণ বল করেছে।’

তিনি রাসেলের প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘সে অনেক বড় প্লেয়ার এবং আমাদের জন্য সেটা করে দেখিয়েছে। পোলার্ড এখন ভালো আছে, মেডিকেল টিম কাজ করছে। সে কেনো অসাধারণ একজন অধিনায়ক সেটার প্রমাণ দেখেন! লাস্ট ওভারে খেলতে নামলো এবং শেষ বলেও ছক্কাও মারলো। আমাদের মধ্যে কেউ একজন ভবিষ্যতে এই দায়িত্বতা নেওয়ার চেষ্টা করবো।’

লিটন দাসের উইকেটটা ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে সেটাই মানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লিটন দাসের উইকেটটা ছক্কা হলেও ম্যাচের রেজাল্ট যে ভিন্ন হতো সেটার আক্ষেপটাও রিয়াদের কথায় স্পষ্ট। তবে হারের জন্য ঢালাওভাবে কাউকে দোষ দিতে রাজি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

রিয়াদ বলেন, ‘আমি মনে করি লিটনের উইকেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কারণ আমরা দুইজনই সেট ছিলাম। যদি সেটা ছক্কা হতো….! লম্বা ফিল্ডার থাকার সুবিধাটাই দেখা গেলো। বোলাররা ভালো করেছে তবে সুযোগ মিসের কারণে ১০-১৫ রান বেশি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি তবে এই উইকেটে হিট করাটা খুব কঠিন। ব্যাক অব লেন্থে বল করলে রান করাটা খুব কঠিন। বোলাররা ভালো করেছে। খুব শ্বাসরুদ্ধকর একটা ম্যাচ ছিলো। ব্যাটার বা বোলারকে এর জন্য দোষ দিতে পারিনা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিছু আপনি জিতবেন আবার হারবেন। ড্রপ ক্যাচ অবশ্যই একটা কারণ। আমাদের আরো ভালো খেলা উচিত।’

ম্যাচে ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভীত গড়ে দেওয়া নিকোলাস পুরান সন্তুষ্ট নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সহ বাকিরা যে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সেটাও স্বীকার করলেন অকপটে।

ম্যাচ সেরা পুরান বলেন, ‘আমরা ব্যাটারদের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সেটাই করেছি দলের জন্য যেটা প্রয়োজন ছিলো। ব্যাটাররা সেভাবে এখনো পারফরম করতে পারেনি। আমাদেরকে আরো সেরাটা দিতে হবে। আমি একজন ব্যাটার এবং ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি এই দায়টা আমাকেও নিতে হবে। আমরা পোলার্ডকেও মিস করেছি। আমি শেষ কয়েক মাস বেশ পরিশ্রম করেছি, তবে সেরাটা দিতে পারিনি। আমি আমি সবসময়ই আমার অ্যাটিটিউড ও স্কিলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...