আবারও আক্ষেপের গল্প

জিতলে ক্ষীণ আশা আর হারলেই ছিটকে যেতে হবে সেমির দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে সুপার টুয়েলভে শারজাহতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পথে হাঁটলো। বাংলাদেশকে ৩ রানে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সঙ্গী হল আরেকটি আক্ষেপ।

জিতলে ক্ষীণ আশা আর হারলেই ছিটকে যেতে হবে সেমির দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে সুপার টুয়েলভে শারজাহতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পথে হাঁটলো। বাংলাদেশকে ৩ রানে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সঙ্গী হল আরেকটি আক্ষেপ।

১৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে এদিন নাইম শেখের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। অবশ্য পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনলেও সেই একই দশা ওপেনিংয়ে। ওপেনিং জুটিতে আসে মাত্র ২১ রান! দলীয় ২১ রানে ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হন সাকিব।

পরের ওভারেই ব্রাভোর বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড নাইম! ২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও লিটন দাশের ৩১ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের আশা দেখালেও মিস হিটে উইকেট দিয়ে ফেরেন সৌম্য। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে করেন ১৩ বলে ১৭ রান।

শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৮৮ রান। এরপর মুশফিক লিটনের ১৭ বলে ৩০ রানের জুটি জয়ের ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশকে। দলীয় ৯০ রানে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন মুশফিক। শেষ ৫ ওভারে দরকার ৪৪ রান, হাতে ৬ উইকেট। ক্রিজে তখন লিটন ও মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকে শেষ ৩ ওভারে দরকার ৩০ রান। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে লিটন ফিরলে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ১৩ রান! খেলা গড়ায় ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে ৪ রানের প্রয়োজন হলেও রাসেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পায় ৩ রানের।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই টাইট লাইন লেন্থে বল করে চাপে রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই এভিন লুইসকে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর মেহেদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্রিস গেইল। ১৮ রানে ২ উইকেট নেই ক্যারিবিয়ানদের। মেহেদির উপর চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শিমরন হেটমায়ারও। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ক্যারিবিয়ানরা।

ফিজ, মেহেদি, তাসকিনদের দাপটে হাত খুলে মারতেও পারছিলো না রস্টন চেজ, পোলার্ডরা। চতুর্থ উইকেটে ধীর গতির ৩০ রানের জুটির পথে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরত যান পোলার্ড। এরপর কোনো বল খেলার আগেই রান আউটের শিকার হয়ে ডায়মন্ড ডাক মেরে আউট হন আন্দ্রে রাসেল! প্রথম ১৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে মাত্র ৭০ রান।

ম্যাচে ব্যাকফুটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন চেজ ও নিকোলাস পুরান। একপ্রান্তে চেজ থিতু হয়ে স্ট্রাইক রোটেট করে খেললেও আরেক প্রান্তে ঝড় তুলেন পুরান। গড়েন ৩৩ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। এই জুটিতেই ম্যাচে ফেরে ক্যারিবিয়ানরা। এদিকে ক্যাচ মিস আর স্টাম্পিং মিসে জীবন পেয়ে বোলারদের উপর চড়াও হন পুরান।

দলীয় ১১৯ রানে পুরান ফেরেন ২২ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৪০ রানে। পরের বলেই রস্টন চেজ ফেরেন ৪৬ বলে ৩৯ রানের টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং শেষে। শেষ ওভারে জেসন হোল্ডার ও পোলার্ডের তিন ছক্কায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রানের শক্তিশালী পুঁজি দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৪২/৭ (২০ ওভার); পুরান ৪০(২২), চেজ ৩৯(৪৬), হোল্ডার ১৫(৫)*; শরিফুল ৪-০-২০-২, মেহেদি ৪-০-২৭-২, ফিজ ৪-০-৪৩-২।

বাংলাদেশ – ১৩৯/৫ (২০ ওভার); লিটন ৪৪(৪৩), রিয়াদ ৩১(২৪), সৌম্য ১৭(১৩), নাইম ১৭(১৯); আকিল হোসেন ৪-০-২৪-১, হোল্ডার ৪-০-২২-১, রামপল ৪-০-২৫-১।

ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ রানের জয়ী।

ম্যাচ সেরা: নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...