এমন ম্যাচ উইনারেরও জায়গা নেই পাকিস্তান দলে!

এলিমেনেটর, কোয়ালিফায়ার আর ফাইনাল তিন ম্যাচেই ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে জিতিয়েছিলেন তিনি। তিন ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, ফর্ম হারিয়ে সমালোচনার সাগরে ডুব দিয়েছিলেন – পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরু হওয়ার আগে এমনটাই ছিল ইমাদ ওয়াসিমের পরিস্থিতি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি তিনি; টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। সত্যি বলতে, সদ্য সমাপ্ত পিএসএলের ভাগ্য নিজ হাতে লিখেছেন এই বাঁ-হাতি।

এলিমেনেটর, কোয়ালিফায়ার আর ফাইনাল তিন ম্যাচেই ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে জিতিয়েছিলেন তিনি। তিন ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে, বড় ম্যাচের খেলোয়াড় বোধহয় এটাকেই বলা হয়।

এলিমেনেটরে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার, আর সেজন্য তাঁকে খরচ করতে হয়েছে মোটে বারো রান। এমন আঁটসাঁট বোলিংয়ের কারণেই ১৩৫ রানে সেদিন গুটিয়ে গিয়েছিল রাইলি রুশোর দল।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে পেশওয়ার জালমিও আটকা পড়েছে তাঁর কাছে। এই ম্যাচে ৫০ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ইসলামাবাদ; কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি, অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

সবশেষ শিরোপার শেষ লড়াইয়ে এই তারকা একাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন দুই দলের মাঝে। বল হাতে ২৩ রানের বিনিময়ে শিকার করেছিলেন পাঁচ উইকেট, আবার মাঝারি সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে অপরাজিত ১৯ রান করেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের কল্যাণে ট্রফিতে হাত রাখেন শাদাব খানরা।

এর আগে ডু অর ডাই ম্যাচে ১৩ বলে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেছিলেন পাক ক্রিকেটার। তাঁর এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ২২৯ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল টিম ইউনাইটেড। সব মিলিয়ে, বিগ ম্যাচ উইনার হিসেবে এবারের পিএসএলে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান জাতীয় দল যখন হন্যে হয়ে একজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার খুঁজছে তখন ইমাদ ওয়াসিমের এই অতিমানবীয় ফর্ম নিঃসন্দেহে হাসি ফোটাবে সমর্থকদের মুখে। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ইমাদ সেই টুর্নামেন্টে হতে পারেন শাহীন শাহ আফ্রিদির গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...