পাঁচ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৩ সালে শিরোপার খুব কাছ থেকে ফিরতে হয়েছিলো শচীন টেন্ডুলকারকে। কিন্তু বিধাতা যেন অন্যভাবে লিখে রেখেছিলেন শচীনের গল্পটা।
২০১১ সালে ঘরের মাটিতে সবশেষে সেই দুইযুগের অপেক্ষার অবসান ঘটলো। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের বিশ্বকাপ জয়ের সেই মুহূর্তে তাঁকে নিজ কাঁধে চড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
সেই মুহূর্তটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ভারতীয় ক্রিকেটে। সেবার শচীনের জন্য হলেও একটা বিশ্বকাপ খুব করে জিততে চেয়েছিলো ভারত। পুরো দলটাই যেন খেলছিলো তাদের ক্রিকেট ঈশ্বরকে একটা শিরোপা হাতে তুলে দিতে।
ফাইনালে শিরোপা জয়ের পর তাকে কাঁধে চড়ানোর সময় বিরাট তো বলেছিলেন, ‘২৪ বছর ধরে সে পুরো দেশের ভার বহন করেছে, এখন সময় তাকে আমাদের বহন করার।’
২০১১ সালে ভারত ঠিক যেমনটা শচীনের জন্য খেলেছিলো, ঠিক তেমন আবার যখন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ তখন ভারতের উচিত কোহলির জন খেলা, এমনটাই মনে করেন ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ওপেনার বিরেন্দর শেবাগ।
যদিও কোহলি খেলোয়াড় হিসেবে ইতোমধ্যেই জিতেছেন একটি বিশ্বকাপ। কিন্তু নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে কোহলিকে একটা শিরোপা উপহার দেয়া উচিত বলে মনে করেন শেবাগ। ২০১১ এর সেই বিশ্বকাপ জেতার পর কোহলি জিতেছেন ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। কিন্তু এরপর থেকে টানা দশবছর কোনো আইসিসি ট্রফি জেতেনি ভারত।
শেবাগ তাই মনে করেন দশ বছরের ট্রফিখড়া কাটাতে ভারতীয় দলের উচিত পূর্বসূরীদের অনুসরণ করা। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এবারের বিশ্বকাপটা তাদের খেলা উচিত কোহলির জন্য।
বিশ্বকাপের ফিক্সার ঘোষণার অনুষ্ঠানে শেবাগ বলেন, ‘আমরা সেই বিশ্বকাপটা খেলেছিলাম শচীনের জন্য। আমরা সেই বিশ্বকাপটা জিতেছিলাম। শচীনকে দারুণ একটা বিদায় দিয়েছিলাম আমরা। কোহলি এখন অনেকটাই শচীনের জায়গা নিয়েছে। যেভাবে সে খেলে, কথা বলে এবং অন্যদের দেখাশোনা করে এবং সে যেভাবে ক্রিকেটটা খেলে সে এখন অনেকটাই এমন। সবাই কোহলির জন্য বিশ্বকাপটা জিততে চায়।’
বিশ্বকাপে কোহলি আরো ভয়ংকর রূপে দেখা যাবে বলেও আশাবাদী শেবাগ, ‘প্রায় এক লক্ষ মানুষ আহমেদাবাদে খেলা দেখবে। কোহলি জানে পিচ গুলো কেমন আচরণ করবে। আমি নিশ্চিত এই বিশ্বকাপে সে প্রচুর রান করবে এবং সে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার জন্য নিজের সেরাটাই দেবে।’