লক্ষাধিক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এরচেয়ে দারুণ ম্যাচ আর কি বা হতে পারে। ক্রিকেট প্রেমীদের সেই আরাধ্য মহারণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ অক্টোবর।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের এই ম্যাচটি নিয়ে চলছে অনেক জল্পনা কল্পনানা। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের কাছে অপরাজিত ভারত এবার স্বাগতিক হওয়ায় সব চাপ ভারতের ওপরই থাকবে বলে মত ভারতের সাবেক অফ স্পির হরভাজন সিংয়ের। ঘরের মাঠে দর্শকদের প্রত্যাশার চাপের কারণে ম্যাচের সব চাপ ভারতই অনুভব করবে বলেও মনে করেন ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য।
হরভাজন বলেন, ‘এটা খুবই চাপের একটা খেলা হবে। পাকিস্তান কোনো চাপে থাকবে না ভারতের মত কারণ এটা ভারতের মাটিতে খেলা হবে। তাই এই চাপ সামলানো এবং জিতে বের হয়ে এসে সবার মুখে হাসি এনে দেয়াটাই হবে দারুণ কিছু।’
ক্রিকেট বিশ্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মত উত্তেজনার কিংবা দর্শক আগ্রহের ক্ষেত্রে সমকক্ষও নয় আর কোনো ম্যাচ। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাটিতে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত। সেই ম্যাচের সাক্ষী হরভাজন সিং মনে করেন সেই সেমিফাইনালের চাপ ছিলো ফাইনালের চেয়েও বেশি।
হরভাজন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না। ২০১১ সালের সেই ম্যাচের কথা বললে আমি এখনো তা মনে করতে পারি। আমার মতে সেটা শুধু নামেই সেমিফাইনাল ছিলো। আসলে সেটা ছিলো একটা ফাইনাল ম্যাচ।’
হরভাজন সিং জানান, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চাপ সামলানোটাই ম্যাচ জয়ের অন্যতম মূলমন্ত্র। ভারতের প্রায় দেড়শ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সেই ম্যাচ চাপকে জয় করার কোনো বিকল্প নেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের।
সাবেক এই অফস্পিনার বলেন, ‘সেই ম্যাচের চাপটা অনেক। আপনার প্রতিবেশি থেকে শুরু করে পুরো ভারতবর্ষের সবাই বসে আছে প্রত্যাশা নিয়ে। আপনার শুধু একটা জিনিসই করার আছে তাদের জন্য। সেটা হলো ম্যাচটা জেতা।’
সবশেষ বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টারে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তান। এর আগের ম্যাচ গুলোর মত যথারীতি সেই ম্যাচেও ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারে পাকিস্তান।
তবে চারবছর আগের পাকিস্তান আর চার বছর পরের পাকিস্তানের পার্থক্য অনেক। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট হয়েই ভারতে যাবে বাবর আজমরা। তাই ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে দারুণ রোমাঞ্চই অপেক্ষা করে আছে ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য।