ভারতের জয়রথ থামানো তো দূরে থাক, তাঁদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। ভারতের ছুঁড়ে দেয়া রানের পাহাড়ে পৃষ্ঠ হয়ে লঙ্কানরা গুটিয়ে গিয়েছে মাত্র ৫৫ রানে। অসম লড়াইয়ে ৩০২ রানের বিশাল জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।
বল হাতে শুরুটা দারুণ করেছিল লঙ্কান পেসার দিলশান মাধুশাঙ্কা। দিনের দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মার স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন তিনি। বিরাট কোহলি আর শুভমান গিলকে আউট করার সুযোগও তৈরি করেছিল শ্রীলঙ্কা, কিন্তু ফিল্ডাররা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। এরপর আর থামানো যায়নি এই দুই ব্যাটারকে। তাঁদের ১৮৭ রানের দুর্দান্ত জুটির কল্যাণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা।
তবে দ্বিতীয় স্পেলে মাধুশাঙ্কা আক্রমণে আসতেই ৯২ রানে গিলকে প্যাভিলিয়নে ফেরান; খানিক পরে কোহলিকেও একই পথ দেখান এই পেসার, ১২ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় ভারতীয় তারকার। পরপর দুই উইকেটের বিদায়েও ভারতকে চাপে পড়তে দেননি শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল।
বিশেষ করে শ্রেয়াস ছিলেন দারুণ ছন্দে; মাঝে রাহুল, সুরিয়া আউট হলেও তিনি দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বড় সংগ্রহের দিকে। শেষদিকে আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ বলে ৮২ রান। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ২৪ বলে ৩৫, এতেই ৩৫৭ রানের পুঁজি জমা হয় বোর্ডে।
দ্বিতীয় ইনিংসে হঠাৎ করেই এশিয়া কাপ ফাইনালের হাইলাইটস দেখানো শুরু হয়। না, ব্রডকাস্টাররা ভুলে ভিডিও ক্লিপ চালু করেননি। বরং ভারতের পেসাররা দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন সেই স্মৃতি। সিরাজের তিন উইকেট আর বুমরাহ এক উইকেট তুলে নিলে মাত্র ৩ রানেই চার ব্যাটারের পতন ঘটে।
খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন চারিথ আসালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু মোহাম্মদ শামি বোলিংয়ে এসেই টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন। পরের সময়েও তাঁর হাত থেকে রক্ষা পায়নি ব্যাটাররা; ১২তম ওভারে দুষ্মন্ত চামিরাকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। এরপর ম্যাথুসকেও হতাশা উপহার দেন এই অভিজ্ঞ পেসার।
শেষদিকে রাজিথাকে আউট করে ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি। আর মাধুশাঙ্কাকে আউট করে আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি ঘটান জাদেজা। লঙ্কানদের এমন লজ্জাজনক পরাজয় বাংলাদেশের জন্যও খানিকটা স্বস্তির। কেননা পরের ম্যাচে কুশল মেন্ডিসদের বড় ব্যবধানে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দরজা খুলে যেতে পারে টাইগারদের জন্য।