তপ্ত মেজাজ, উত্তপ্ত লড়াই! বেস্ট বনাম যুবরাজ!

যুবরাজ ছিলেন শেষ অবধি। ১৭ বল বাকি থাকতে শিরোপা নিশ্চিত করে ভারত। জিতে যায় ছয় উইকেটে।

যুবরাজ সিং বনাম টিনো বেস্ট—মাঠে যেন ঝলসে উঠল আগুন! আন্তর্জাতিক মাস্টার্স লিগের ফাইনাল বলে কথা। ভারতের সব কিংবদন্তিরা আছেন আছেন, মাঠে উত্তাপ তো ছড়াবেই।

যদি কেউ ভেবে থাকেন, এই ম্যাচটা নিছকই বিনোদনের জন্য, তবে ভুল ভাঙানোর সময় এসে গেছে। ১৩ তম ওভারে বেস্টের বোলিং—১২ রান গিয়েছে! আম্বাতি রাইডু টানা দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন, আর তাতেই যেন আগুনে ঘিঁ পড়ল।

বেস্ট, যিনি বরাবরই একটু রাগী মেজাজের জন্য পরিচিত। মাঠের বাইরেও তাঁর ঘটনা-রটনা কম নয়। একটু আগেই শচীনকে আউট করে বেশ উজ্জীবিত ছিলেন। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে যুবরাজও পিছু হটলেন না একচুলও।

থামবেনেই বা কেন, যুবরাজ সিং নিজেও তো পাঞ্জাবের বাঘ। ভারতকে দুই ফরম্যাটের দু’টো ভিন্ন বিশ্বকাপের ট্রফি জিতিয়েছেন। তিনি লেগে গেলেন বেস্টের সাথে। সামলাতে পারলেন না নিজেকে।

দুই তারকা একদম মুখোমুখি — তর্ক যেন ছড়িয়ে পড়বে গোটা মাঠে! ঠিক তখনই ঢাল হয়ে এলেন ব্রায়ান লারা, পাশে যোগ দিলেন আম্পায়াররাও। বড় একটা হাতাহাতি থেকে নীরবতা নেমে এলে রায়পুরে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৪৭ রানের জবাবে ১৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ তখন দুই উইকেটে ১১৪ রান। জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ৩৫ রান ৪২ বলে। তবে উত্তেজনার পারদ উঠতে উঠতে যেন ততক্ষণে ভারতের পক্ষেই চলে গেছে!

যুবরাজ ছিলেন শেষ অবধি। ১৭ বল বাকি থাকতে শিরোপা নিশ্চিত করে ভারত। জিতে যায় ছয় উইকেটে। জয় সূচক রান আসে রজার বিনির ব্যাট থেকে। ১৭ তম ওভারে সুলিমান বেনকে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে তিনি ব্যবধান কমিয়ে আনেন। এরপর ১৮ তম ওভারের প্রথম বলেই আনেন জয়সূচক রান।

তবে, ভারতের  ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন আম্বাতি রাইডু। তাঁর সেঞ্চুরিতেই আরেকটি ‘বিশ্বসেরা’র শিরোপা নিশ্চিত হল ভারতের!

Share via
Copy link