মেসির ইনজুরি নিয়ে মাথা ব্যথা!

নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল। ২০১৪ সালে ফিরেছেন খুব কাছ থেকে। এবার নিশ্চয়ই নিজের সেই আরাধ্য ট্রফিটি ছু্ঁয়ে দেখতে নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেবেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের পরই দেখা গেলো বাম পায়ের হ্যামিস্ট্রিং এ কিছু ব্যাথা অনুভব করছেন এই ক্ষুদে জাদুকর। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনের স্বীকার হবার পর অনেকেই হয়তো ভাবেননি আর্জেন্টিনা ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে খেলবে।

কিন্তু অসাধারণ ফুটবল খেলে মেসি, আলভারেজরা পৌঁছে গেছে ফাইনালে। সেমিফাইনালে গতবারের রানারআপ ক্রোয়েশিয়াকে বিধ্বস্ত করেই ফাইনালের মঞ্চে আলবি সেলেস্তেরা। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীনই দেখা যাচ্ছিলো দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বাম হ্যামিস্ট্রিং নিয়ে কিছুটা ভুগছেন মেসি। ম্যাচের পরের দিন কোচ লিওনেল স্কালনি মেসি সহ প্রথম একাদশের বাকিদের বিশ্রাম দিয়েছেন। তাই অনুমিত ভাবেই বুধবারের ট্রেনিং এ উপস্থিত ছিলেন না মেসি।

সেমিফাইনাল চলাকালীনই নিজের গ্রোইন আর থাই-তে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করছিলেন মেসি। কিন্তু এই অস্বস্তিও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে বাধা হতে পারেনি মেসির জন্য। এক গোল আর আলভারেজের গোলে এক অতিমানবীয় অ্যাসিস্ট করে সেমিফাইনালে ম্যাচ সেরা হন লিওনেল মেসিই।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, মেসি তার হ্যামস্ট্রিং এ অস্বস্তি অনুভব করছেন। কিন্তু ফাইনালের আগেই তিনি সম্পূর্ণ ফিট হয়ে উঠবেন।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর মেসি বলেন, ‘আমি প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করছি।’ ইনজুরি নিয়েও খুব চিন্তিত দেখা গেলো না মেসিকে, ‘আমি ভালো অনুভব করছি। প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য আমি যথেষ্ট ফিট অনুভব করছি। আমরা জানি আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা নিজেদের খুব ভালোভাবে প্রস্তুত করছি। এই বিশ্বকাপ নিয়ে আমি খুবই খুশি। কারণ আমি আমার দলকে সাহায্য করতে পারছি।’

৩৬ বছর ধরে বিশ্বকাপ না জেতা আর্জেন্টিনার চেয়েও বোধহয় মেসির বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা বেশি। নিজের শেষ বিশ্বকাপে সেই সোনালি ট্রফির ছোঁয়া পেতে ফাইনালের আগে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে নিশ্চই নিজের সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দেবেন মেসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link