গ্যালারিতে কিংবা টেলিভিশন সেটের সামনে বসে দর্শকরা খেলা দেখেন। মাঠের বা বাইশ গজের কোনো অ্যাকশনই হয়তো তাঁদের চোখ এড়ায় না। তবে, মাঠের বাইরে এমন অনেক মজার, মুখরোচক কিংবা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে – যা অনেক সময় চোখ এড়িয়ে যায়।
ঘটনা গুলো হয়তো অনেক সময় মূল খেলা থেকেও বেশি আকর্ষণ করে। তেমনই গুটি কয়েক ঘটনা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।
- ব্রেট লিকে হুমকি দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার
ব্রেট লি নিজেও সর্বকালের সর্বোচ্চ গতিশীল বোলারদের একজন ছিলেন। তবে, শোয়েব আখতারের বিপক্ষে ব্যাট করতে ঠিক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। তার ওপর ব্রেট লি উইকেটে আসা মাত্রই একবার শোয়েব হুমকি দিয়ে বসলেন, ‘বিঙ্গা, আমি তোমাকে মেরেই ফেলবো।’
ব্রেট লি হেসে উড়িয়ে দিলেন। বললেন, ‘না শোয়েব, আমরা তো বন্ধু।’ যদিও শোয়েব আখতার সেদিন গতির ঝড় থামাননি।
- জার্সি খুলতে চেয়েছিলেন হরভজনও
২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল যতটা না ক্রিকেটীয় কারণে বিখ্যাত, তার চেয়ে বেশি বিখ্যাত লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভ গাঙ্গুলির জার্সি খুলে উদযাপনের কারণে।
তবে, শুধু অধিনায়ক ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’ নয়, জার্সি খুলে জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে চেয়েছিলেন অফস্পিনার হরভজন সিংও। তবে, শেষ মুহূর্তে তাঁকে বাঁধা দেন শীর্ষ ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়।
- মিরাজের গায়ে হাত তুলেছিলেন সাব্বির
সাব্বির রহমান রুম্মান যতটা না ব্যাটিং প্রতিভার জন্য, তার চেয়েও বেশি ‘ব্যাড বয়’ ইমেজের জন্য ‘খ্যাতিমান’। দলের ক্রিকেটারদের সাথেও বিরাট শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাজে পারফরম্যান্সের জের ধরে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের দল থেকে জায়গা হারান সাব্বির। শেষ ম্যাচে একাদশে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে ড্রেসিংরুমে সাব্বিরের কথা কাটাকাটি হয়। আর তারই এক পর্যায়ে মিরাজকে চড় মেরে বসেন সাব্বির।
- ইমরান-বোর্ডার আলাপ
একবার সিডনিতে বসে ইমরান খানের সাথে আলাপ হচ্ছিল অ্যালান বোর্ডারের। ইমরান বলছিলেন, ‘এবি আমাকে কেবল ভারত থেকে সুনীল গাভাস্কার আর বি.এস চন্দ্রশেখরকে এনে দাও, আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেবো।’ অ্যালান বোর্ডার নাকি জবাবে বলেছিলেন, ‘ইমরান, তুমি শুধু আমাকে দু’জন পাকিস্তানি আম্পায়ার দাও, আমরা পুরো বিশ্বকে হারিয়ে দেবো।’
বোর্ডারের এই বক্তব্য বিরাট বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। বিষয়টা এতদূর গড়ায় যে, বোর্ডারকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমা চাইতে হয়।
- সৌরভ গাঙ্গুলির কাবাব প্রেম
পাকিস্তান সফরে গেছে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। ডিনারের সময় ঘনিয়ে আসছে, কিন্তু সৌরভের এখন ফুটপাথের কাবাব খেতে ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু, সৌরভের পরিকল্পনাটা যুৎসই ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমি হোটেলের বাইরে কাবাব খেতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, সিকিউরিটি কাউকে জানাইনি। আমার প্রিয় বন্ধু রাজদ্বীপ সারদেসাই গণ্ডগোলটা বাঁধায়। তাই ডিনারটা মাঝপথেই শেষ করতে হয়।’