পারফরম্যান্স আর সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের দলে রাখবে না ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। রিটেশন তালিকা প্রকাশের পর সেই ধারণাই সত্য প্রমাণ হল; সাকিব আল হাসান, লিটন দাস কিংবা মুস্তাফিজুর রহমান কাউকেই স্কোয়াডে রাখা হয়নি।
কলকাতা নাইট রাইডার্স গত আসরের দলে অনেক পরিবর্তন এনেছে। সাকিব, লিটনদের পাশাপাশি লকি ফারগুসন, টিম সাউদিদেরও ছেড়ে দিয়েছে তাঁরা। দেশীয়দের মাঝে শার্দুল ঠাকুরকেও বিদায় বলেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালস টাইগার পেসার মুস্তাফিজকে পরিকল্পনায় রাখেনি।
২০২৩ সালের আইপিএলে অবশ্য বাংলাদেশিরা পুরোপুরি ফ্লপ ছিলেন; টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এনওসি ইস্যুতে বারবার সরগরম হয়েছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন যা বিরক্তিতে ফেলেছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকেও। এমনকি এর সূত্র ধরে সাকিবকে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল যাতে কলকাতা নতুন কাউকে বদলি হিসেবে নিতে পারে।
সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাবে লিটন যদিও সায় দেননি; অল্প কিছু সময়ের জন্য ভারতে উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এক ম্যাচ সুযোগ পেয়ে হয়েছেন সুপার ফ্লপ। ব্যাট হাতে রান পাননি আবার কিপিংয়ে দুই দুইটি স্ট্যাম্পিং মিস করে দলের পরাজয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। এরপর আর তাঁকে একাদশে রাখার সাহস পায়নি টিম ম্যানেজম্যান্ট।
দিল্লির হয়ে মুস্তাফিজ একাধিক ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হয়েছেন লিটনের মতই। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সেবার ৩৮ রানের বিনিময়ে মাত্র এক উইকেট পেয়েছিলেন তিনি, পরের ম্যাচে, বাঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেটাও পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই তাই পরবর্তী আসরের জন্য এই বাঁ-হাতিকে বাদ দিয়েছে দিল্লি।
এখনো নিলাম বাকি, তাই আইপিএলে লাল-সবুজের কেউই থাকবেন কি না সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে অংকের হিসেবে না দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, কেননা সত্যি বলতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচের ফলাফল বদলে দেয়ার মত পারফর্মার হয়ে উঠতে পারেননি টাইগার ক্রিকেটাররা।