বাদ পড়ছেন মুশফিক

তৃতীয় ওয়ানডে আগে বাংলাদেশের শেষ অনুশীলনটা ছিল ঐচ্ছিক। তবুও লিটন, মিরাজরা বাদে দলের প্রায় সবাই অনুশীলন করেছেন। ইতোমধ্যে সিরিজ হেরে যাওয়ায় শেষ ম্যাচটা একাদশ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাও চালাতে পারেন হেড কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডের একাদশে দেখা যেতে পারে একাধিক পরিবর্তন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা মনমত হয়নি বাংলাদেশ দলের। মিরপুরের দুটি ওয়ানডের একটিতেও জিততে পারেনি তামিম ইকবালের দল। দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচে বোলারদের কল্যানে যা একটু প্রতিদ্বন্দিতা হয়েছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে তো একেবারেই নাজেহাল অবস্থা ইংল্যান্ডের।

যদিও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমেই পরিবর্তন আনা হবে বোলিং আক্রমণে। মিরপুরের উইকেটে দুজন পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। পেসার কমিয়ে বাড়তি স্পিনার হিসাবে খেলানো হয়েছিল তাইজুল ইসলামকে। তাইজুল ইসলামও দলে ডাক পেয়ে একেবারে মন্দ করেননি।

তবে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে খুব সম্ভবত খেলা হচ্ছে না তাইজুলের। কেননা চট্টগ্রামের উইকেট মিরপুরের মত স্পিন সহায়ক হবে না। বরং এই উইকেট ব্যাটারদের সাহায্য করে, পেসাররা ভালোই করে থাকেন। ফলে সাগরিকায় তিনজন পেসার নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ফলে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে হাসান মাহমুদকেও দেখা যেতে পারে আগামীকালকের ম্যাচে।

তবে গুঞ্জন আছে ব্যাটিং লাইন আপেও পরিবর্তন আনতে পারেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে। এমন একটা আভাষ অবশ্য তিনি সিরিজ শুরু হবার আগেও দিয়েছিলেন। হাতুরু জানিয়েছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে তিনি কোন পরিবর্তন করতে চান না।

তবে যদি সাফল্য না আসে তাহলে তিনি নিজের মত করে আগাবেন। ফলে হাতুরুর পরিকল্পনায় যে কেউই দলে জায়গা হারাতে পারেন। সাম্প্রাতিক কিংবা গত এক বছরের ফর্ম বিবেচনায় জায়গা হারানোর সম্ভাবনা আছে মুশফিকুর রহিমেরও।

কেননা গত বছর এই ফরম্যাটে তাঁর সময়টা ভালো কাটেনি। ২০২১ সালেও প্রায় ৬০ গড়ে ব্যাটিং করা মুশফিক ২০২২ সালে ব্যাটিং করেছেন মাত্র ২৩ গড়ে। গতবছর তাঁর ব্যাট থেকে আসেনি কোন সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন মাত্র দুইবার।

আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেও ফ্লপ এই সিনিয়র ব্যাটার। দুই ম্যাচে যথাক্রমে করেছেন ১৬ ও ৪ রান। এছাড়া প্রথম বারের মত ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া তৌহিদ হৃদয়কেও একটা ম্যাচ সুযোগ দিয়ে দেখতে চাইবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে তো বাদ পড়তেই হবে।

ওদিকে মুশফিক বাদে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খুব একটা ভালো ফর্মে নেই। ভারতের বিপক্ষে একটা ভালো ইনিংস অবশ্য তিনি খেলেছেন। তবে তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও তিনি প্রয়োজনের সময়ে ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন।

এছাড়া আফিফের জায়গাও হৃদয়কে সুযোগ দিতে পারে বাংলাদেশ দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন এই ব্যাটারও। যদিও চট্টগ্রামের মাটিতেই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও আছে আফিফের। তবে হৃদয়কে খেলাতে হলে কাউকে তো বাদ পড়তেই হবে।

এখন হাতুরু এত তাড়াতাড়ি সিনিয়রদের বাদ দেয়ার মত পদক্ষেপ নিবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। অবশ্য তাঁদের জায়গায় নতুন ক্রিকেটার তৈরি করতে হলে এখন থেকেই প্রক্রিয়াটা শুরু হওয়া চাই। বিশ্বকাপের তো আর খুব বেশি দেরি নেই।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link