গত বুধবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। কিন্তু সেখানে জায়গা পাননি ঈশান কিষাণ আর শ্রেয়াস আইয়ার। অথচ দু’জনে জাতীয় দলের পরিকল্পনায় আছেন ভালভাবেই। মূলত রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নিতে না চাওয়ায় তাঁদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়নি।
অবশ্য ইংল্যান্ড সিরিজে লোকেশ রাহুলের না থাকা এবং শ্রীকর ভারতের অফ ফর্মের কারণে কিষাণকে স্কোয়াডে নিতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেজন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, বলা হয়েছিল দলের সঙ্গে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি জানান, এখনো মাঠের নামার মত প্রস্তুত হননি।
বাধ্য হয়ে উদীয়মান উইকেট কিপার ব্যাটার ধ্রুব জুরেলকে সুযোগ দেন নির্বাচকরা। এমন সিদ্ধান্ত আশীর্বাদ হয়েই এসেছে ভারতের জন্য। অভিষেক টেস্টে ৪৬ রানের সম্ভাবনাময়ী এক ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাচসেরার পুরষ্কার বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। সেই ম্যাচের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৯০ এবং ৩৯* রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন ঈশান কিষাণ। কিন্তু মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত আছেন এই কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেন তিনি। এরপর থেকেই আলোচনার বাইরে ছিলেন, কিন্তু রঞ্জি ট্রফি ইস্যুতে আবারও শিরোনাম হতে হয়েছে তাঁকে।
বিসিসিআইয়ের নির্দেশনা মতে, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা যখন আন্তর্জাতিক খেলায় থাকবেন না তখন অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। অথচ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই তারকা নিজের রাজ্য দল ঝাড়খণ্ডের সাথে কোন যোগাযোগ-ই করেননি। উল্টো আইপিএলের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
এসব কিছুর প্রভাবেই কেন্দ্রীয় চুক্তি হাতছাড়া হয়েছে তাঁর, সেই সঙ্গে জাতীয় দল থেকেও অনেকটা দূরে সরে গিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে হবে, তাহলেই হয়তো ফিরতে পারবেন আকাশি-নীল জার্সিতে।