টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রোহিত শর্মা এখন অতীত, বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কি আশ্চর্য, এমন একজন ব্যাটারের শূণ্যতা অনুভবের কোন সুযোগই পায়নি ভারত। পাবেই বা কিভাবে, তাঁর রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে কোন সময়ই তো নষ্ট করেননি যশস্বী জয়সওয়াল। কি অনায়াসে রোহিতের মত করেই রোহিতের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি, প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করতে নেমে ২১ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। তাঁর পাঁচ চার ও দুই ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ভর করে দল পেয়েছে উড়ন্ত সূচনা। সেই সাথে আরো একবার প্রমাণ হলো হিটম্যানের জায়গায় তিনিই টিম ইন্ডিয়ার সম্ভাব্য সেরা অপশন।
এর আগে জিম্বাবুয়ে সফরেও এই ব্যাটার নিজের সামর্থ্যের ছাপ রেখেছিলেন; পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে তাঁর ধারাবাহিকতার কথা তাই আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই তারকা শুধু রান করেন ব্যাপারটি মোটেই এমন নয়, তিনি রান করেন ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী। যখন আগ্রাসন প্রয়োজন তখন আগ্রাসী হয়েই ব্যাট চালান, আবার যখন মনে হয় বুঝে শুনে খেললে ভাল হবে তখন ধৈর্যের পরিচয় দিতে দ্বিধা করেন না। এক কথায় বলতে গেলে, টি-টোয়েন্টির মেজাজটা ষোল আনা জানা আছে তাঁর।
ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে রোহিত শর্মা বড় ইনিংস খেলার চেয়ে ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস খেলার দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন। তাই তো প্রায় সব ম্যাচেই শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি; জয়সওয়াল ঠিক তাঁর দেখানো পথে হাঁটছে। অ্যাঙ্করিং কিংবা সেট হওয়ার মত রক্ষণাত্মক ব্যাপার মাথায় না রেখে দ্রুত রান তোলাকেই লক্ষ্য বানিয়েছেন তিনি।
এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা, নিজেকে আরো উন্নত করার পালা। না খেলেই ২০২৪ বিশ্বকাপ জিতেছেন এই তরুণ, আগামী দিনে বিশ্বকাপ জেতানোর দায়িত্ব কিন্তু তাঁর-ই।