ধারাবাহিক ম্যাচ উইনার জাসপ্রিত বুমরাহ

জাসপ্রিত বুমরাহ এখন প্রত্যাশিত টর্নেডো, তাঁর বিপক্ষে খেলা মানে ব্যাটার আগেই বুঝে ফেলেন এক অগ্নি পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। কিন্তু বুঝেও লাভ হয় না, অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় থাকে না। উইকেট কিংবা প্রতিপক্ষ কোন কিছুই তাঁকে পারফরম করার পথে বাঁধা দিতে পারেনা, যেমনটা পারেনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আইপিএলের ফাটা উইকেট থেকে শুরু করে নিউইয়র্কের পেস স্বর্গ – সবখানেই ছড়ি ঘুরিয়েছেন এই বোলার। তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক মায়াবী ডেলিভারি আর তাতে আটকা পড়েছেন বাঘা বাঘা ব্যাটাররাও। দলের অধিনায়ক যেই পরিস্থিতিতে যা চেয়েছেন, তিনি সেটাই করে দেখিয়েছেন।

এইতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে এই পেসার খরচ করেছেন মাত্র সাত রান, বিনিময়ে শিকার করেছেন তিন উইকেট। দুর্দান্ত পরিসংখ্যান বটে, তবে এর চেয়ে দুর্দান্ত ছিল তাঁর বোলিং শৈলী। তুলনামূলক ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও ব্যাটারদের রীতিমতো গোল খাইয়েছেন

ইনফর্ম রহমানউল্লাহ গুরবাজ আরো একবার জ্বলে উঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রথম ওভারে, কিন্তু বুমরাহ আক্রমণে আসতেই সব তেজ ফুরিয়ে গিয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত এক স্লোয়ারে আফগান ওপেনারকে বোকা বানিয়েছিলেন তিনি; দ্বিতীয় ওভারে আরো একবার স্কোরবোর্ডে নাম উঠেছিল তাঁর, এবার প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল হজরতউল্লাহ জাজাইকে।

নতুন বলে দুর্ধর্ষ এক স্পেল করেও অবশ্য তৃপ্ত হননি এই ডানহাতি। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করে তিন নম্বর উইকেট তুলে নেন তিনি। বলতে গেলে, তাঁর এমন বোলিংয়ের কারণেই আফগানদের লড়াই করার স্বপ্ন বাস্তব হয় নি। উল্টো হেরেছে ৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে অতিমানবীয় পারফরম্যান্স করেছিলেন এই তারকা। একাই সেদিন ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছিলেন, তবে এমন পারফরম্যান্স নতুন কিছু নয় তাঁর জন্য। ধারাবাহিকভাবেই ম্যাচ জেতানো বোলিং করে যাচ্ছেন তিনি; এখন কেবল একটা ট্রফি ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link