বাংলাদেশের ওপেনিং নিয়ে সংকটের শেষ নেই। তামিম ইকবাল থাকলেও তার সঙ্গী স্থির করতে পারা যায় না। তারপর আবার তামিমও নেই বেশ কিছুদিন হলো। ফলে দুই ওপেনারের পজিশনই নড়বড়ে। এর মধ্যে কখনো ওপেন না করা মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়ে সর্বশেষ ঢাকা টেস্টে ওপেন করানো হয়েছে। সেখানেও তিনি কিছু করতে পারেননি। কিন্তু সেই জয়কেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত সুপার স্টার বলে মনে করছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
বাংলাদেশের টেস্ট উদ্বোধনী জুটি নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা ম্যানেজমেন্টও আর অস্বীকার করতে পারছেন না। এখন প্রকাশ্যেই এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ওপেনারদের এই সংকট নিয়ে মুমিনুল বলছিলেন, তামিমের বদলে যারা খেলছেন, তারা নিশ্চয়ই কেউ ঘুরে দাড়াবেন। তামিমের মত বিশ্বসেরা একজনকে রিপ্লেস করা সহজ নয় বলেই সংকটটা হচ্ছে, ‘আমার দলে বাংলাদেশের মূল যে ওপেনার তামিম ইকবাল নেই। ওনার জায়গায় আরেকটা খেলোয়াড় হয়তো সুযোগ পাচ্ছে। আমার মনে হয় যারা স্কোয়াডে আছে তারা বাংলাদেশ দলের ভালো ওপেনার। তামিম ভাইতো বিশ্বের সেরা ওপেনারদের মধ্যে অন্যতম। তামিম ভাইয়ের জায়গা কাউতো খেলাতেই হবে, এই কারনে দেখা হচ্ছে।’
তামিমের সেই জায়গাটা হয়তো নিতে পারতেন সাদমাস। কিন্তু তিনিও ইদানিং খুব নড়বড়ে হয়ে গেছেন। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের একটাতেও ভালো করতে পারেননি। ভালো করতে পারেননি সাইফ হাসানও। অবশেষে দলে ঢোকানো হয়েছে জয়কে।
অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী জয় সম্প্রতি ঘরোয়া প্রথম শ্রেনীর পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন। জাতীয় লিগে ২টি সেঞ্চুরি ও একটি ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ৪ ম্যাচে। এর ফলেই জাতীয় দলের দুয়ারটা খুলে গেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, জয় সবসময় এই রান করে এসেছেন মিডল অর্ডারে। এবার তাকে করতে হচ্ছে ওপেন।
মুমিনুল বলছেন, ভূমিকা যাই হোক, জয় সফল হওয়ারই কথা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৬ রানের ইনিংস খেলা জয় সম্পর্কে বলছিলেন, ‘মাহমুদুল জয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যখন সেঞ্চুরি করলো, তখন ওকে দেখে ভালো লেগেছিল। আমি ওকে নিয়ে খুবই আশাবাদি। আমার মনে হয় পরবর্তীতে বাংলাদেশের সুপারস্টার হতে পারে। জানি না, আপনারা ওকে কিভাবে দেখেনে। মিডিয়াতে না বলাই ভালো। কিন্তু আমি ওকে নিয়ে ইমপ্রেস। আশা করি সে ভালো ক্রিকেট খেলবে। তার বড় খেলোয়াড় হওয়ার চান্স আছে।’