জুলিয়ান আলভারেজ, আরাধ্য স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে

ম্যানচেস্টার সিটির বিলাসিতা ছেড়ে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে এই তারকা এসেছিলেন প্লেয়িং টাইমের জন্য, এসেছিলেন কোচের পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটা হওয়ার জন্য - নিজের সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছেন তিনি, এখন কেবল ধারাবাহিক থাকার পালা।

শুরুটা ভাল ছিল না, লা লিগায় নিজের প্রথম গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকদিন। তবে জুলিয়ান আলভারেজ ঠিকই পৌঁছে গিয়েছেন আরাধ্য লক্ষ্যে। দলের ‘মেইন ম্যান’ হওয়ার যে ইচ্ছে নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে স্পেনে পাড়ি জমিয়েছেন সেই ইচ্ছে পূরণ হতে যাচ্ছে। হবেই না কেন, এখন তো তিনি একা হাতে ম্যাচ জেতাতে শিখে গেলেন।

কোপা দেল রে তে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মুখোমুখি হয়েছিল ইউই ভিআইচির। আর্জেন্টাইন তারকা ছিলেন না শুরুর একাদশে, দলও শুরু থেকে গোলের জন্য সংগ্রাম করেছে। সময় যত বেড়েছে, সেই সংগ্রামও তত তীব্র হয়েছে।

বাধ্য হয়ে সত্তর মিনিটের সময় তাঁকে মাঠ নামান অ্যাটলেটিকো কোচ, আর তাতেই বদলে যায় পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। ভাগ্যও সহায় ছিল বটে, এই তরুণ মাঠে নামার মিনিট দশেক পরেই পেনাল্টি পেয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আকাশসম চাপ মাথায় নিয়েও একেবারে সহজ ভঙ্গিতে গোল করেন তিনি – তবে তাঁর তুষ্টি মেলেনি এমন গোলে।

সেজন্যই খানিক পরে আবার স্কোরবোর্ডে নাম তুলেন আলভারেজ। কুইক কাউন্টার এটাকের সৌজন্যে ডি বক্সের ঠিক সামনে বল পেয়ে যান তিনি, দারুণ দক্ষতায় সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের ফিনিশিং এবং গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তাঁর দল। সেই সাথে জয়ও পেয়ে যায় একই ব্যবধানে।

এই নিয়ে ক্লাবের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে চার গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সবমিলিয়ে ক্লাব ফুটবলে চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ছয় গোল করেছেন তিনি, যা অ্যাতলেটিকোর ড্রেসিংরুমে সর্বোচ্চ। অথচ তাঁকেই কি না নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচ ম্যাচ।

ম্যানচেস্টার সিটির বিলাসিতা ছেড়ে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে এই তারকা এসেছিলেন প্লেয়িং টাইমের জন্য, এসেছিলেন কোচের পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটা হওয়ার জন্য – নিজের সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছেন তিনি, এখন কেবল ধারাবাহিক থাকার পালা।

Share via
Copy link