অবশেষে জয়ের দেখা পেলো খুলনা টাইগার্স, দুর্দান্ত ঢাকাকে উড়িয়ে দিয়ে পরাজয়ের ধারা ভাঙ্গলো তাঁরা৷ ওয়েইন পারনেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আফিফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাঁচ উইকেটে জিতেছে দলটি। এই জয়ে সেরা চারের লড়াই আরো জমে উঠেছে।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়েইন পারনেলের তোপের মুখে পড়ে ঢাকা। ইনফর্ম ওপেনার নাইম শেখকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন এই পেসার, পরের বলেই আবার সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন তিনি। তাঁর আগ্রাসন থেকে বাদ যাননি দারুণ ব্যাট করতে থাকা অ্যাডাম রসিংটনও, ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন দিশেহারা হয়ে যায় তাসকিনের দল।
ইরফান শুক্কুর চেষ্টা করেছিলেন ভাল কিছু করার, কিন্তু ২৬ বলে ২৫ রান করে থামতে হয় তাঁকেও। শন উইলিয়ামস তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। অ্যালেক্স রস, মোসাদ্দেক হোসেনরা কেবল সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিতে পেরেছেন দলকে – দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ রানের ইনিংস।
শেষদিকে চতুরাঙ্গা ডি সিলভা করেছেন ১১ বলে ১৭ রান, তাতেই ১২৮ রান জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে। যদিও চট্টগ্রামের পিচ বিবেচনায় এই লক্ষ্য খুলনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হওয়ার কথা নয়।
তবে প্রথম বলেই এনামুলকে আউট করে প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেন শরিফুল ইসলাম। নিজের পরের ওভারেই এভিন লুইসকেও শিকার করেন তিনি। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ম্যাচে ফিরতে দেননি পারভেজ হোসেন ইমন, তাঁর ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগিয়ে যায় খুলনা। ডি সিলভার বলে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৪০ রান করেন তিনি।
ততক্ষণে জয়ের সমীকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। শাই হোপের ধৈর্যশীল ইনিংস আর আফিফ হোসেনের ঝড়ে সেটা আরো সহজেই মিলাতে সক্ষম হয় টিম টাইগার্স। এই তারকা অলরাউন্ডার শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে, আর এই জন্য তাঁকে স্রেফ ২১ বল খেলতে হয়েছে। এছাড়া উইন্ডিজ ব্যাটার করেছন আরো ৩২ রান।
তাতেই ২৮ বল হাতে রেখে বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে খুলনার তরী। সেই সাথে ঢাকার টানা ম্যাচ হারের লজ্জার রেকর্ড অব্যাহত রইলো।