ম্যাচের মুহূর্তে মুহূর্তে রঙ বদলেছে। বেশ বড় একটা সময় ধরে পাঞ্জাবই ছিল এই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে। তবে কে জানতো, শেষের জন্য সব জমিয়ে রেখেছে কলকাতা। আন্দ্রে রাসেলের দানবীয় ব্যাটিং আর রিঙ্কু সিংয়ের শেষ বলে চার মেরে জেতানো ক্যামিও ইনিংসে অসাধারণ এক জয়ই পেলো কেকেআর। ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক নিতীশ রানার ফিফটির পর আন্দ্রে রাসেলের নিজ রূপে ফেরার দিনটায় কলকাতা জয় পেয়েছে পাঁচ উইকেটে।
ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। এরপর ভানুকা রাজাপাকসে শূন্য রানে ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে পাঞ্জাব। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। জিতেশ শর্মা, লিয়াম লিভিংস্টোনরা ছোট ছোট ইনিংস খেললেও কেউই বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি ধাওয়ানকে।
নয় বলে ১৫ রান করেন লিভিংস্টোন আর ১৮ বলে ২১ করে আউট হন জিতেশ। ১৫ তম ওভারে আউট হবার আগে ৪৭ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৫৭ রান করেন ধাওয়ান। তবে শেষ দিকে শাহরুখ খানের আট বলে ১১ ও হারপ্রিত ব্রার নয় বলে ১৭ রানের দুটি দুর্দান্ত ক্যামিওতে লড়াই করার পুঁজি পায় পাঞ্জাব। সাত উইকেটে ১৭৯ রানে থামে তারা।
১৮০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কেকেআরকে ভালো সূচনা এনে দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা জেসন রয়। এই দুইজনের ৩৮ রানের জুটি ভাঙে নাথান এলিসের বলে গুরবাজ ফিরে গেলে। আরো একবার বড় ইনিংসের আশা জাগালেও এদিন অবশ্য ২৪ বলে ৩৮ রানের বেশি করতে পারেননি রয়।
এরপর কলকাতার হাল ধরেন অধিনায়ক রানা ও ভেন্কাটেশ আইয়ার। ৩৮ বলে ৫১ রান করে রানা ফিরে গেলে ফিকে হয়ে যায় কলকাতার জয়ের স্বপ্ন। তবে ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলাতে থাকা ম্যাচে কেকেআর আবারো ফিরে আসে আন্দ্রে রাসেল ও রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটে।
২৩ বলে সমান তিনটি ছক্কা ও চারে ৪২ রান কর কলকাতাকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন রাসেল। তবে শেষ ওভারের নাটকীয়তা আবারো জমিয়ে তোলে ম্যাচ। কিন্তু রিঙ্কু সিং ১০ বলে ২১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে হারতে দেননি।শেষ বলে চার মেরে কেকেআরকে জেতান তিনি।পাঁচ উইকেটের জয় পায় কেকেআর।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলার আশা এখনো টিকিয়ে রেখেছে কলকাতা। সমান ম্যাচ খেলে দশ পয়েন্ট পাঞ্জাব কিংসেরও।