আইপিএলের ১৭ তম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো পাঞ্জাব কিংস আর কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ম্যাচে দল হিসেবে খেলেই কলকাতাকে হারিয়েছে পাঞ্জাব। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে ১৯২ রানের বিশাল টার্গেট দেবার পর বোলিং ইনিংসের শুরুতেই ৩ উইকেট তুলে জয় নিশ্চিত করে ফেলে পাঞ্জাব। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হবার আগে কলকাতা সাত উইকেটে ১৪৬ রান করলে ডিএল মেথডে সাত রানে জেতে পাঞ্জাব।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবকে ঝড়ো শুরু এনে দেবার চেষ্টা করেন ওপেনার প্রভসিমরান সিং। প্রথম দুই ওভারেই দুই চার আর দুই ছক্কায় তুলে ফেলেন ২৩ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিপজ্জনক হয়ে উঠার আগেই প্রভসিমরানকে ফেরান টিম সাউদি। এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ও শ্রীলঙ্কান রিক্রুট ভানুকা রাজাপাকসে।
৮৬ রানে পার্টনারশিপে পাঞ্জাবকে বড় রানে ভিত গড়ে দেন এই দুই বাহাতি ব্যাটার। বেশি আক্রমণাত্মক ছিল ভানুকা। উমেশ যাদবের বলে আউট হবার আগে ৩২ বলে পাঁচ চার আর দুই ছক্কায় ৫০ রানে আউট হন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রেখে তখনো খেলে যাচ্ছিলেন শিখর।
অফস্পিনার ভরুন চক্রবর্তী ফেরান শিখরকে। আউট হবার আগে ছয়টি চারে ২৯ বলে ৪০ রান করেন পাঞ্জাবের নতুন অধিনায়ক। এরপর জিতেশ শর্মা , সিকান্দার রাজারাও ছোট ছোট ক্যামিও খেলে আউট হন। শেষ দিকে এসে ঝড় তোলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারান। ১৭ বলে ২ ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংসে পাঞ্জাবের সংগ্রহকে ১৯০ পার করেন কারান।শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে ১৯১ রানে থামে পাঞ্জাব কিংস।
১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কেকেআর। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মাত্র দুই রান করে ফিরে যান মানদীপ সিং। একই ওভারে আরশদীপের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অনুকুল রায়ও। অন্য প্রান্তে আক্রমণাত্মক ভাবে ইনিংস শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি প্রথমবারের মত আইপিএলে সুযোগ পাওয়া আফগান ওপেনার রহমানুল্লাগ গুরবাজ।
অজি পেসার নাথান এলিসের বলে আউট হবার আগে তিন চার ও এক ছক্কায় ১৬ বলে ২২ রান করেন গুরবাজ। ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শুরুতেই ম্যাচের লাগাম হারায় কলকাতা। এরপর অধিনায়ক নিতীশ রানাও সেট হয়ে আউট হয়ে গেলে বড় বিপদেই পড়ে কেকেআর।
শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কেকেআরকে আশাও দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি দলকে। ১৯ বলে দুই ছক্কা আর তিন চারে ৩৫ রান করে স্যাম কারানের শিকার হন রাসেল। রাসেলের আউটের পরেই আদতে শেষ হয়ে যায় কেকেআরের আশা।
কলকাতার স্কোর যখন সাত উইকেটে ১৪৬ তখনই নামে বৃষ্টি। তখনো জয়ের জন্য ২৪ বলে কলকাতার প্রয়োজন ৪২ রান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৃষ্টি আর না থামলে ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডে সাত রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় পাঞ্জাব কিংসকে।