শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ৩১ রান। মানে ৩০ বলে ৩১ রান। হাতে আছে ছয় উইকেট। সেখান থেকে সহজ জয়ই আসার কথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু হল উল্টোটা। সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেল ও দীনেশ কার্তিকদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুম্বাইয়ের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েও পারলো না ইয়ন মরগ্যানের দল। হারলো ১০ রানে।
চোটের কারণে অনেক দিন হলোই বল হাতে দেখা যায় না আন্দ্রে রাসেলকে। কিন্তু এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শুরু থেকেই বল করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর আজ বল হাতে তাণ্ডব চালিয়ে তো কলকাতার জয়ের সুরই বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রাসেলই শেষের সমীকরণ মেলাতে না পেরে চাপের মুখে হার মানলেন।
আর শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সহজেই জেতা ম্যাচ ১০ রানে হেরে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বোলরদের দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ে ফিরলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
১৫০ রান তাড়া করতে নামা কলকাতাকে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার শুভমান গিল ও নিতীশ রানা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন দুজন। ৩৩ রান করে গিল আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুত রাহুর ত্রিপাঠি, ইয়ন মরগ্যান, নিতিশ রানা ও সাকিব আল হাসান ফিরে গেলেও চাপে পড়ে কলকাতা।
নিতীশ রানার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৫৭ রান। সাকিব আল হাসান করেন ৯ বলে ৯ রান। শেষের দিকে সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে না পেরে ১০ রানে হেরে যায় কলকাতা। মু্ম্বাইয়ের পক্ষে চার টি উইকেট শিকার করেন রাহুল চাহার। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট নেন দুই উইকেট। এছাড়া একটি উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। তিনি চার ওভারে হজম করেন মাত্র ১৩ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার কুইন্টন ডি কককে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ানরা। ২ রান করে ফিরে যান ডি কক। দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৬ রান যোগ করেন সুরিয়াকুমার যাদব ও রোহিত শর্মা।
ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন কলকাতার জার্সিতে ৫০ তম ম্যাচ খেলতে নামা সাকিব আল হাসান। ৩৬ বলে ৫৬ রান করা সুরিয়াকুমার যাদবকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। এই জুটি ভাঙ্গার পর দ্রুত আরো পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
একে একে ফিরে যান ঈশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড ও জানসেন। রোহিত ৪৩ রান করলেও বাকিরা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। ১২৬ রানে ৭ উইকেট হারানো মুম্বাই শেষের দিকে কুনাল পান্ডিয়ার ৯ বলে ১৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে রাসেল মাত্র ২ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া প্যাট কামিন্স ২ টি এবং প্রসাদ, চক্রবর্তী ও সাকিব আল হাসান শিকার করেন ১ টি করে উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৫০/৯ (ওভার: ২০; রোহিত- ৪৩, ডি কক- ২, সুরিয়াকুমার- ৫৬, ঈশান- ১, পান্ডিয়া- ১৫, পোলার্ড- ৫, পান্ডিয়া- ১৫, চাহার- ৮) (রাসেল- ২-০-১৫-৫, কামিন্স- ৪-০-২৪-০, প্রসাদ- ৪-০-৪২-১, চক্রবর্তী- ৪-০-২৭-১, সাকিব- ৪-০-২৩-১)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৪২/৭ (ওভার: ২০ ; গিল-৩৩, রানা- ৫৬, রাহুল- ৫, মরগ্যান- ৭, সাকিব- ৯, কার্তিক-) (চাহার- ৪-০-২৭-৪, পান্ডিয়া- ৪-০-১৩-১)
ফলাফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১০ রানে জয়ী।