টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাঙ্গালুরুকে টানছে তাদের টপ অর্ডার। হেনরিক ক্লাসেনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ১৮৬ রানের বড় সংগ্রহ পেলেও বিরাট-ডুপ্লেসির ফর্মের কাছে তা মামুলিই ছিলো। দুইজনের ১৭২ রানের ওপেনিং জুটিতে আট উইকেটের বিশাল জয় পায় ব্যাঙ্গালুরু।
এই জয়ের সেরা চারের উঠে এসেছেন ডু প্লেসিস -বিরাটরা। অন্যদিকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়া সাজরাইজার্সের জন্য সব ম্যাচই এখন নিয়মরক্ষার।
হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি টেবিলের তলানির দল হায়দ্রাবাদের। দলীয় ২৭ রানেই মাইকেল ব্রেসওয়েলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা।
এরপর রাহুল ত্রিপাঠি একই বোলারের শিকার হলে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। এরপরেই ৭৬ রানের জুটিতে হায়দ্রাবাদকে খেলায় ফেরান এইডেন মার্করাম ও হেনরিক ক্লাসেন।
২০ বলে ১৮ রান রান করে অধিনায়ক মার্করাম ফেরত গেলেও ব্যাঙ্গালুরু বোলারদের ওপর তান্ডব চালাতে থাকেন ক্লাসেন। ৫১ বলে ছয় ছক্কা ও আট চারে ১০৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। একদশে ফেরার পর থেকেই ক্লাসেন যেন আছেন দারুণ ফর্মে।
আঠারো তম ওভারের শেষ বলে হার্শাল প্যাটেলে শিকার হন তিনি। পাঁচ উইকেটে ১৮৬ রানে থামে হায়দ্রাবাদ।
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন ফাফ ডু প্লেসিস ও বিরাট কোহলি। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাঙ্গালুরুর হাল টানছেন এই দুই ব্যাটার। এই দুই ব্যাটারকে যেন বল করার লেন্থই খুঁজে পাচ্ছিলেন না হায়দ্রাবাদ বোলাররা।
১৭২ রানের জুটিতে হায়দ্রাবাদের পরিকল্পনা লন্ডভন্ড করার খেলায় মেতে উঠেছিলেন যেন এই দুই ব্যাটার। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো বিনা উইকেটেই লক্ষ্য পাড়ি দেবেন বিরাট ও ফাফ ডু প্লেসিস।
আরো একবার রান তাড়া করার ক্ষেত্রে নিজের মুন্সিয়ানার প্রমাণ রেখে বিরাট কোহলি তুলে নেন তাঁর ষষ্ঠ আইপিএল শতক। ৫৩ বলে চারটি ছক্কা ও ১২ টি চারে ১০০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন কোহলি। কোহলি আউট হবার পর বেশিক্ষণ টেকেননি ডু প্লেসিসও। ৪৭ বলে দুই ছক্কা ও সাত চারে ৭১ রান করেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক।
এই দুইজন যখন আউট হন তখন ব্যাঙ্গালুরুর জয় প্রায় নিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত আট উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ব্যাঙ্গালুরু। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সবার নিচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।