টি-টোয়েন্টিতে ঝুঁকি নিতে ভয় পান বিরাট!

পূর্ণতার মাঝেই অপূর্ণতা। কথাটা যেন বিরাট কোহলির জন্যই সৃষ্টি হয়েছে।

বিরাট কোহলি, নি:সন্দেহে ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তবে তাঁর সকল প্রাপ্তির মাঝেও খানিকটা ঘাটতি দেখা যায়। বর্তমানে সীমিত ওভারে তাঁর স্ট্রাইক রেট ভাবাচ্ছে তাঁর ভক্তসহ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। কোহলির এখন সময় হয়েছে সীমিত ওভারের খেলায় তাঁর ব্যাটিং ধরণ পরিবর্তন আনার। বিশেষ করে, টি-টোয়েন্টিতে।

কথায় আছে, নো রিস্ক, নো গেইন। অর্থাৎ, ঝুঁকি  ছাড়া সাফল্য আসে না। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের ঝুঁকি নেয়ার সাহস থাকতে হয়। তবে, কোহলির মাঝে সেই সাহসেরই খানিকটা অভাব লক্ষ্য  করা যাচ্ছে।

কোহলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে সর্বশেষ ম্যাচে করেন ৫৯ বলে ৮৩ রান। ফলে বেঙ্গলুরু ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮২ রানের টার্গেট দাড় করায়।

তবে, কলকাতা নাইট রাইডার্স সেই টার্গেট উতরে যায় বেশ সাবলীল ভাবেই, তিন উইকেটে করে ১৮৩ রান। যদিও সেই ম্যাচে কোহলি সবার চেয়ে বেশি রান করেন, তবে অন্যদের তুলনায় তাঁর স্ট্রাইক রেট আহামরি কিছু ছিল না।

তাই এখন তাঁর স্ট্রাইক রেট ভালভাবে পর্যবেক্ষণে আনা হচ্ছে। আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের সাথে করেন ৪৯ বলে ৭৭ রান , যেখানে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৭.১৪। আবার চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে ২০ বলে করেন মাত্র ২১ রান, যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১০৫.০০। যা কোহলির সাথে বড্ড বেমানান।

তাই এখন তাঁর ভক্তরা কিছুটা আঁচ করতে পারবে, কেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে বাদ দেয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। ৫০ বলে ৭০ রান করার চেয়ে ২০ বলে ৪০ রান করা ঢের ভাল। তাছাড়া রিঙ্কু সিং, যশ্বসী জয়সওয়াল, সাঞ্জু স্যামসন আর রিয়ান পরাগের মতো ব্যাটাররা একটা সুযোগের অপেক্ষাই করছে।

২০১৩ সালের পর ভারত কোনো আইসিসি ট্রফি জেতেনি। ভক্তরা এবং খেলোয়াড়রা একটা ট্রফির স্বাদ পেতে তাই বেশ মরিয়া। সেই স্বাদ মেটাতে কোহলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। ক্রিকেটে কোহলির অবদানের পরিসর ব্যাপক। তবে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট বেশ দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই বিশ্বকাপের আগে নিজেকে আরও গুছিয়ে নিতে হবে বিরাট কোহলিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link