চোটের কারণে ২০২৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কয়েকটি ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি কুলদীপ যাদবের। তাঁর অনুপস্থিতিতে মাঝের ওভারগুলোতে পুরোপুরি নখদন্তহীন মনে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। কিন্তু তিনি ফিরে কোন সময় নেননি, এক পলকেই বদলে দিয়েছেন দলকে। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে এই বোলার প্রমাণ করেছেন একাদশে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তিনি।
লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে চার ওভার বল করেছেন কুলদীপ। এর মধ্যে খরচ করেছেন মাত্র ২০ রান, আর উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনটি। পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান আদায় করা লখনৌ তাঁর বোলিং জাদুতেই পথ হারিয়ে ফেলেছিল।
এই বাঁ-হাতি মূলত শুরুর দুই ওভারে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকে রাঙিয়ে রাখতে তৃতীয় বলেই স্কোরবোর্ডে নিজের নাম লেখেন তিনি; মার্কাস স্টয়নিসকে বোকা বানিয়ে প্যাভিলিয়নে পাঠান। পরের বল অবশ্য নিকোলাস পুরান বুঝতেই পারেননি, সোজাসুজি ডেলিভারিতেই বোল্ড হয়েছেন তিনি। যদিও আউট হওয়াটাই স্বাভাবিক, অন্তত পরিসংখ্যান সে কথাই বলে।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে কুলদীপের ৫৭ বল মোকাবিলা করেছেন উইন্ডিজ ব্যাটার। এসময় স্রেফ ৫২ রান নিতে পেরেছেন তিনি, অথচ আউট হয়েছেন পাঁচ পাঁচবার। অর্থাৎ এই চায়নাম্যানের বিপক্ষে তাঁর স্ট্রাইকরেট কেবল ৯১ আর ব্যাটিং গড় ১০.৪!
পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত লখনৌর ভরসা হয়ে তখনো উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তবে সেটিও সহ্য হয়নি স্পিন তারকার। পরের ওভারে বল করতে এসেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রাহুলকে। সে ওভারে আর কোন উইকেট পাননি তিনি, দুই ওভার শেষে তাঁর বোলিং ফিগার হয় এমন ২-০-৭-৩।
ইনিংসের বাকিটা সময় তাঁকে দেখেশুনেই খেলেছে ব্যাটাররা। তবে কাজের কাজটা ততক্ষণে করে ফেলেছিলেন দিল্লির এই স্পিনার। দারুণ ছন্দে থাকা লখনৌর কাছ থেকে মোমেন্টাম ছিনিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ; কুলদীপ যাদব ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছেন পারফরম করতে শুরু করেছেন – ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের খুশির জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। এখন শুধু ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা।