বিপিএল শিরোপা ছিনিয়ে আনতে জানেন মেয়ার্স

ম্যাচটা শেষ করে আসা উচিৎ ছিল। কিন্তু, শেষটা রাঙিয়ে দিয়ে গেছেন রিশাদ হোসেন। আর সেই শেষ অবধি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রটা ওই কাইল মেয়ার্সই বানিয়ে দিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ নামটা কাইল মেয়ার্সের নামের সাথেই জড়িয়ে আছে। এই মাটিতেই তিনি অবিশ্বাস্য এক টেস্ট জিতিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই মাটিতে বিপিএল খেলতে এসে টানা দুইবার নায়ক বনে গেলেন। টানা দুই বার যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ফাইনাল জিতল ফরচুন বরিশাল – ব্যাট হাতে সেই অর্জনের নায়ক এই ক্যারিবিয়ান।

বিপিএল ফাইনালের এই মঞ্চটা অচেনা নয় কাইল মেয়ার্সের। গেল আসরে এই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই তাঁর ব্যাটে হেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফরচুন বরিশালের এই ডেরাও তার জন্য পরিচিত। গেল বার এই ফাইনালেই ৩০ বলে ৪৬ রান করে জিতিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালকে। এবার তাঁর ব্যাটে ভর করে জয় আসল অনেকদিন বাদে বিপিএলে ফেরা চিটাগং কিংসের বিপক্ষে।

বিপিএল যায়, বিপিএল আসে – কিন্তু মেয়ার্স টিকে থাকেন। এক বছরের পুরনো ফর্মটা তিনি অব্যহত রাখলেন। অথচ, ক্রিজে এসেছিলেন খুবই বিরুদ্ধ এক সময়ে। পেসার শরিফুল ইসলামের জোড়া আঘাতে তখন কাপছে বরিশাল। তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ইনিংসের বল তিনেক পরেই আউট হয়ে ফিরেছেন আসর জুড়ে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক ডেভিড মালানও। রিকোয়ার্ড রান রেটও যেন মাথা ব্যাথার কারণ হতে চাইছে বরিশালের জন্য। সেখান থেকেই ম্যাচের দায়িত্ব নিলেন মেয়ার্স।

উইকেট আঁকড়ে ধরেছেন, ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন, আস্কিং রান রেটকেও রেখেছেন সাধ্যের মধ্যে। ৩ চার, ৩ ছয়ে মাত্র ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে মাহমুদুল্লাহর নেতিবাচক ইনিংসও মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারেনি। ম্যাচটা শেষ করে আসা উচিৎ ছিল। কিন্তু, শেষটা রাঙিয়ে দিয়ে গেছেন রিশাদ হোসেন। আর সেই শেষ অবধি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রটা ওই কাইল মেয়ার্সই বানিয়ে দিয়ে গেছেন।

Share via
Copy link