সেঞ্চুরিতে তৃপ্ত লিটন

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখানোর পর বোলারদের তান্ডবে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। যে জয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লিটন দাস। দীর্ঘ দিন পর দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তাই খুশি এই ওপেনার।

লিটন ছাড়াও আজ সাত নম্বরে নেমে শেষের দাবি মিটিয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষের দিকে মেহেদী হাসান মিরাজও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। আর বল হাতে দারুণ শুরু এনে দেন তিন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

আর পথের কাটা হয়ে থাকা ব্রেন্ডন টেইলর ও রেগিস চাকাভা সহ পাঁচ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়েকে বেশি দূর যেতে দেননি সাকিব আল হাসান। তাই বড় জয় পাওয়ার পর ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রশংসা করেছেন সবারই।

তামিম বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম জিম্বাবুয়ে প্রথম ১৫ ওভারে ব্যতিক্রমীভাবে ভাল বোলিং করেছিল। তবে লিটন ও মাহমুদউল্লাহ এবং পরে আফিফ যে ভাবে ব্যাট করেছে। আজ তরুণরা যা করেছে এটা একদম নিখুঁত ছিল। সাকিবের বোলিং পরিকল্পনাতে চাপ তৈরি করে আমরা উইকেট পেয়েছি। আফিফ ও মেহেদীর ইনিংসটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছোট ছোট অবদান অনেক সময় বড় প্রভাব ফেলে।’

আজকের আগের আট ম্যাচে লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১০১ রান। এর পরেও একাদশে জায়গা পেয়ে ছিলেন তিনি। এই ওপেনারের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়ে তাদের সিদ্বান্তের যথার্থ প্রমাণ করার। তাই ১০২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে খুশি তিনি।

লিটন বলেন, ‘এরকম ক্ষেত্রে ব্যাট করা সত্যিই ভাল এবং আজ আমার পারফরম্যান্সে খুশি। প্রথম দিকে উইকেট বোলারদের পক্ষে ছিল ও আমি প্রথম ১৫-২০ ওভারে খুব ভাল ভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছিলাম। এরপর এটি সহজ হয়ে যায়। যখন আপননি সিনিয়র কারো সমর্থন পান। আগামীকাল আরো সুস্থ হয়ে উঠবো ও ভালো থাকবো।’

তবে জিম্বাবুয়ে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারলেও তাদের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। সকালে উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ ভাবে চেপে ধরেছিল জিম্বাবুয়ের পেসাররা। কিন্তু সেই শুরু ধরে রাখতে পারেনি তারা। তাই নিজের ২০০তম ম্যাচে হেরে হতাশ জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর।

টেইলর বলেন, ‘আমার ২০০ তম ওয়ানডেতে আমি যা চেয়ে ছিলাম এটা তা নয়,তাই হতাশ। বাংলাদেশ সত্যিই খুব ভালো খেলেছে। আমার শরীর ঠিক আছে এবং আমি এখনও খেলাটি পছন্দ করি। তাই আমি চালিয়ে যাব। আমাদের দলের তরুণ ছেলে গুলো খুব চেষ্টা করছে। কিন্তু বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু পেয়ে সেটা ধরে রাখতে পারিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link