সালাহর বাঁ-পায়ে আরেকটা জয়

ডান-দিক থেকে ড্রিফট করে সেন্টারের দিকে ঢুকেছেন মোহামেদ সালাহ, এরপর ডি বক্সের ঠিক ভিতরে গিয়ে বাম পায়ের কার্ল শট সরাসরি আশ্রয় নিয়েছে জালে - একেবারে ক্লাসিক গোল। লিভারপুলের পোস্টার বয় একেবারে তাঁর মত করেই গোল করেছেন। তাতেই দুর্দান্ত একটা কামব্যাকের গল্প লিখেছে অলরেডরা, অ্যানফিল্ডে হারের শঙ্কা কাটিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।

ডান-দিক থেকে ড্রিফট করে সেন্টারের দিকে ঢুকেছেন মোহামেদ সালাহ, এরপর ডি বক্সের ঠিক ভিতরে গিয়ে বাম পায়ের কার্ল শট সরাসরি আশ্রয় নিয়েছে জালে – একেবারে ক্লাসিক গোল। লিভারপুলের পোস্টার বয় একেবারে তাঁর মত করেই গোল করেছেন। তাতেই দুর্দান্ত একটা কামব্যাকের গল্প লিখেছে অলরেডরা, অ্যানফিল্ডে হারের শঙ্কা কাটিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।

ম্যাচের শুরুতেই ব্রাইটন চমকে দিয়েছিল তাঁদের, ড্যানি ওয়েলব্যাকের পাস পেয়ে জাদু দেখিয়েছেন ফেরদি কাদিওগ্লু। তারপর কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক কেল্লেহারকে। গোল পেয়ে আক্রমণে আরও মনোযোগী হয়ে যায় দলটি, প্রথমার্ধের বাকিটা সময় একাধিক দুর্দান্ত সেভ দিয়েছেন কেল্লেহারকে। না হলে আরও পিছিয়ে পড়তে হতো স্বাগতিকদের।

তবে বিরতির পর পরিবর্তন হয়ে যায় দৃশ্যপট, ট্যাকটিক্সে খানিকটা বদলে এনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লিভারপুল। তখনই মনে হয়েছিল ‘কামব্যাক’ বোধহয় দরজায় কড়া নাড়ছে।

৬৯তম মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, কডি গ্যাকপো ক্রস করতে চেয়েছিলেন বোধহয় কিন্তু ডারউইন নুনেজ ফাঁকি দেয়ায় কিছু বুঝে উঠতে পারেননি বার্ট ভারব্রুগেন। বল সরাসরি খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা।

মিনিট তিনেক পরেই আসে ‘সালাহ মোমেন্ট’; চোখে লেগে থাকার মত গোলের গল্প তো আগেই বলা হয়েছে। ম্যাচের বাকি সময় আর কিছু না ঘটায় স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্নে স্লটের দল।

প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি হেরেছে বোর্নমাউথের বিপক্ষে, আর্সেনালও হেরেছে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে। দুই হেভিওয়েটের পরাজয়ের দিন জিতলো লিভারপুল, জয়ের স্বাদ তাই বেশিই মিষ্টি মনে হবে। আবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠে এসেছে তাঁরা। সেই সাথে হেডমাস্টার স্লট গড়েছেন দারুণ রেকর্ড, লিভারপুলের কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দশ ম্যাচে জয়ের সংখ্যায় তিনিই এখন সবার উপরে।

Share via
Copy link