লিভারপুল ম্যাচ খেলবে আর মোহামেদ সালাহ লাইমলাইট পাবেন না সেটা বোধহয় হতে পারে না। চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছেন তিনি। কখনো অ্যাসিস্ট করেছেন, কখনো গোল করেছেন, কখনো আবার একাই লিখেছেন ম্যাচের ভাগ্য। সবশেষ অ্যাস্টন ভিলা নাস্তানাবুদ হলো তাঁর কাছে, এমিলিয়ানো মার্টিনেজের মহাপ্রাচীরও আটকে রাখতে পারেনি তাঁকে।
শুরুটা একেবারে চিরচেনা স্টাইলে, অ্যাস্টন ভিলার কর্নার থেকে বল পেয়ে বিদ্যুৎ বেগে এই উইঙ্গার ছুটে যান প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের দিকে। থামাতে না পেরে লিওন বেইলি তাঁকে ফেলে দিয়েছিল, কিন্তু ততক্ষণে তিনি বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ডারউইন নুনেজের দিকে।
ডানদিকের বেশ দুরূহ কোণ থেকেই শট নিয়েছিলেন এই উরুগুইয়ান, কিন্তু গতি আর অ্যাকুরেসির সম্মিলনে তিনি এমি মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন। সেই সাথে লিড এনে দেন লিভারপুলকে।
বিরতির আগে সফরকারীরা অবশ্য সমতায় ফেরার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল, তবে লিভারপুলের গোলরক্ষক কেল্লেহার টানা দুই সেভ দিয়ে অক্ষত রাখেন নিজেদের জাল। দ্বিতীয়ার্ধে সেই তুলনায় সুযোগ পায়নি দলটি, উল্টো আধিপত্য বিস্তার করেছিল অলরেডরা।
নুনেজ, দিয়াজ গোল মিস না করলে ব্যবধান বাড়তো আরো আগেই; তবে সালাহ সেই ভুল করেননি। ৮৪ মিনিটের সময় ডিয়েগো কার্লোসের ভুলে মাঝমাঠে বল পেয়ে যান তিনি, এরপর একাই বাকি পথ পেরিয়ে ওয়ান ভি ওয়ানে এমি মার্টিনেজকে স্রেফ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টপ কর্নার খুঁজে নেয় তাঁর প্রচেষ্টা।
সবমিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে এটি মিশরীয় তারকার অষ্টম গোল; মাত্র ১১ ম্যাচেই এত গোল করেছেন তিনি। এছাড়া করেছেন ছয় ছয়টা অ্যাসিস্ট। লিগে সর্বোচ্চ গোলে অবদান রাখার রেকর্ড এখন তাই তাঁর দখলে।
এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের বড় কোন ক্লাবের হয়ে লিগ এবং ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে মিলিয়ে দশ গোল এবং দশ অ্যাসিস্ট হলো অলরেড পোস্টার বয়ের। টানা চার মৌসুম তাঁর গোল ও অ্যাসিস্টের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেছে।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে তাঁদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি যখন হারের বৃত্তে ঘুরছে লিভারপুল তখন রীতিমতো উড়ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনো অপরাজিত কেবল তাঁরা, প্রিমিয়ার লিগেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটির তুলনায় পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছে তাঁরা।