সম্ভবত ইংলিশ ফার্স্ট ডিভিশনের কোন এক ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের এক খেলোয়াড়ের মারাত্মক ট্যাকলে মাঠেই নুইয়ে পড়েন লিভারপুলের তরুণ এক প্লেয়ার।
স্টেচারের জন্য অপেক্ষা না করে দলের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নিজেই আহত প্লেয়ারকে পিঠে করে মাঠের বাহিরে নিয়ে আসেন। কারণ সময় যেন নষ্ট না হয় এবং রক্তাক্ত প্লেয়ারও দ্রুত যেন চিকিৎসা নিতে পারেন। ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসেই এটি খুবই আইকনিক একটি দৃশ্য।
ব্যাথায় মাঠে নুইয়ে পড়া খেলোয়াড়ের নাম ছিল এমলান স্টিভ হিউজ এবং পিঠে করে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে আসা এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলেন রবার্ট বব পেইসলি। লিভারপুলের প্রতি তার প্রচন্ড ফ্যাশিনেশন ও ডেডিকেশন বুঝতে এই দৃশ্যটি যথেষ্ঠ। যে দৃশ্যটি দেখে বিল শ্যাঙ্কলিও বলেন ফেলেন, ‘এই দৃশ্যটাই বলে দেয় যে, আমরা আসলেই কখনোই একা পথ চলি না; নেভার ওয়াক অ্যালোন।’
রবার্ট বব পেইসলি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচদের একজন।
তর্কসাপেক্ষ লিভারপুলের ক্লাবের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা কোচও। ইএসপিএন সর্বকালের সেরা কোচদের তালিকায় তার অবস্থান চতুর্থ। ওয়ার্ল্ড সকার ম্যাগাজিনে ফুটবল ইতিহাসের সেরা কোচদের তালিকায় তার অবস্থান অষ্টম। মাত্র নয় বছর কোচিং ক্যারিয়ারে লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন ৬টি লিগ, ৩টি লিগ কাপ, ৬টি এফএ চ্যারিটি শিল্ড, ১টি ইউরোপা কাপ, ১টি উয়েফা সুপার কাপ এবং ৩টি ইউরোপিয়ান কাপসহ সর্বমোট ২০টি শিরোপা। ফুটবল ইতিহাসে কেবল পেপ গার্দিওয়ালাই পেইসলির (২.২) চেয়ে মৌসুম প্রতি বেশি ট্রফি জিতেছেন।
পেইসলিকে আরেকটু সুন্দরভাবে বুঝতে আপনার আরও একটি তথ্য জেনে রাখা আবশ্যক।
এখন পর্যন্ত অনেকেরই মতে, ফুটবলের সর্বকালের সেরা কোচ ম্যান ইউনাইটেডেরই জীবন্ত কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ফার্গুসন ২৬ বছরের ইউনাইটেড ক্যারিয়ারে বর্ষসেরা ম্যানেজারের পুরস্কার পান ৪ বার। অন্যদিকে মাত্র নয় বছর কোচিং ক্যারিয়ারে লিভারপুলের হয়ে পেইসলি বর্ষসেরা পুরস্কার পান ৬ বার।
২৬ বছর ম্যান ইউনাইটেডের হয়ে স্যার ফার্গুসন লিগ শিরোপা জেতেন ১৩ বার। ৯ বছরে লিভারপুলের হয়ে পেইসলি লিগ জিতে ৬ বার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ফার্গুসন ইউরোপ সেরা হন দুই বার; রবার্ট পেইসলি লিভারপুলের হয়ে ইউরোপসেরা হন মোট তিন বার। মূলত ফার্গুসন ও পেইসলিরই কারণেই বিশ্বজুড়ে একটা বিশাল অংশের ফ্যানবেজ পায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান ইউনাইটেড ও লিভারপুল।
ফুটবলে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে ইংলিশ ফুটবল হল অব ফেমে পেইসলির নাম লেখা হয়। ইউরোপিয়ান ফুটবল হল অব ফেমেও রয়েছে তার নাম। ১৯৮৩ সালে পেইসলি ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘Officer of the order of the British empire’ (OBE) সম্মানে ভূষিত করেন।
একজন পার্ফেক্ট আর্টিস্টদের অভিনয়ের ক্ষেত্রে থিয়েটারগুলোর নাকি চমৎকার একটা চাহিদা থাকে। কেননা তারা থিয়েটার থেকেই অভিনয়ের অ আ ক খ শিখে আসেন; মুখস্ত করেন ধারাপাতের সবকটা পাতা। অভিনয়ের যাবতীয় কলাকৌশলের সবকিছুই মূলত তারা থিয়েটারে শিখে আসেন। বব পেইসলির সেই থিয়েটর ছিল অ্যানফিল্ড। স্পষ্ট করে বললে লিভারপুলই। ফুটবলের যাবতীয় তর্জমা তিনি মূলত লিভারপুল দল থেকেই শিখেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিলম্ব হলেও লিভারপুলের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে পেইসলির অফিশিয়াল অভিষেক হয় ৫ জানুয়ারি ১৯৪৬ সালে। চেস্টারের বিপক্ষে লিভারপুল ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে। লিভারপুলের হয়ে পেইসলির প্রথম গোলের দেখা পেতে সময় লাগে প্রায় দুই বছর। পহেলা মে ১৯৪৮ সালে উলভসের সাথে লিগ ম্যাচে লিভারপুলের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটি করেন পেইসলি।
লম্বা সময় গোল না পেলেও ডিফেন্ডার হিসেবে ডেব্যু সিজনেই লিভারপুলকে ২৪ বছর পর ফার্স্ট ডিভিশন লীগ জিততে সহায়তা করেন। প্রথম সিজনেই লিভারপুলের হয়ে খেলেন ৩৪+ ম্যাচ। ১৯৫০ সালে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে মার্সেসাইড ডার্বিতে রাইভাল এভারটনের বিপক্ষে পেইসলির গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডার্বিতে এভারটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে লিভারপুল। যদিও ফাইনালে আর্সেনালের কাছে হেরে এফএ কাপ হাতছাড়া করে লিভারপুল। সব মিলিয়ে লিভারপুলের হয়ে পেইসলি ম্যাচ খেলেন ২৩০টি, গোল করেন ১০টি। ১৯৫৪ সালে লিভারপুলের হয়ে লম্বা ক্যারিয়ারের ইতি টানেন।
খেলোয়াড়ি জীবনের সমাপ্তি টানার মাত্র এক বছর পর লিভারপুলের ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে যোগ দেন। ৫ বছর পর কোচ আলভার্ট শেইলি অবসর গেলে টিম ট্রেনার হিসেবে নিয়োগ পান পেইসলি। ষাটের দশকের শুরুতেই লিভারপুল ফার্স্ট ডিভিশন লিগ থেকে রেলিগেটেড হয়ে সেকেন্ড ডিভিশনে নেমে যায়। নতুন কোচ বিল শ্যাঙ্কলি নিয়োগ পাওয়ার প্রথম দিনই শ্যাঙ্কলি কোচিং স্টাফের রিওবান বেনেট, জো ফাগান এবং ফেইসলির সাথে সাক্ষাৎ করেন। সবাইর সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে শ্যাঙ্কলি পেইসলিকে নিজের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন। ফিল টেইলরের অধীনে লিভারপুলের ট্রেনিং বলতে শুধু শারীরিক অনুশীলন ও রাস্তায় দৌড়াদৌড়িই ছিল। শ্যাঙ্কলি এসব ডেভেলপ করেন এবং ট্রেনিংয়ে বেসড অন স্পিড ও ইউজিং দ্যা বলের উপর জোর দেন। যার ফলে দলে একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে।
বিল শ্যাঙ্কলি ও পেইসলির লিভারপুল ইউরোপে প্রথমবারের মত দেখায় নিখুত ফুটবল ডিসিপ্লিনড দিয়ে যেকোন কিছু জয় করা সম্ভব। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে লিভারপুল সেকেন্ড ডিভিশন লীগ জিতে ফার্স্ট ডিভিশনে ফিরে আসেন। তারপর শুরু হয় ফার্স্ট ডিভিশন লীগে লিভারপুলের এক নতুন অধ্যায়। প্রায় পনের বছর পেইসলি শ্যাঙ্কলির সহকারী হিসেবে জিতেন ৩টি লীগ টাইটেল, ২টি এফএ কাপ এবং ১টি উয়েফা কাপ। বিল শ্যাঙ্কলির আত্মজীবনী বইয়ের লেখক স্টিফেন এফ. কেলি পেইসলিকে বর্ণনা করেন, The perfect number: never a threat to Shankley but always offering counsel. পেইসলি সম্পর্কে এফ. কেলি বলেন,
“The great motivating force behind Liverpool, it was Paisley who was the tactician. “
১৯৭৪ সালে এফএ কাপ জিতে হঠাৎই বিল শ্যাঙ্কলি দলের ম্যানেজার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। ক্লাব ইতিহাসে তখন পর্যন্ত সফল এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যানেজারের পদত্যাগে মার্সেসাইডবাসীদের সামনে বিল শ্যাঙ্কলির অনুরোধে ক্লাব কর্তারা ম্যানেজারের দায়িত্ব দেন শিষ্য পেইসলিকে। তখনও কেউই জানত না, এই বব পেইসলিই লিভারপুলের ইতিহাসের উজ্জল অংশটুকু লিখতে চলেছেন। সত্যি কথা বলতে পেইসলি মূলত লিভারপুলে বিল শ্যাঙ্কলির সাফল্যেরই পূর্নতা দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, পেইসলির দলের মূল ভিতটা বিল শ্যাঙ্কলিই গড়ে দিয়ে যান। তাই লিভারপুলের হয়ে কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই সাফল্য পান পেইসলি; জিতেন লীগ টাইটেল, এফএ চ্যারিটি শিল্ড ও উয়েফা কাপ। তারপর প্রথমে কেভিন কিগান, রে কেনেডিদের নিয়ে এবং পরে টেনি ম্যাকডারমট, কেনি ডাগলিশ ও ইয়ান রাশদের মত পটেনশিয়াল ইয়ং প্লেয়ারদের নিয়ে গড়ে তুলেন অজেয় লিভারপুল। ফুটবল ইতিহাসে যারা ‘দি সাইক্লোন’ নামেও বেশ পরিচিত।
রবার্ট পেইসলির লিভারপুল কেবল ইংলিশ ফুটবলই ডমিনিট করে ক্ষান্ত হয় নাই ; বরং ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইউরোপেও ডমিনিট করছে তারা।
সেই সময়ে মুলার ও কাইজারের বদৌলতে ইউরোপ মাতাল করছে বায়ার্ন মিউনিখ। ৭৪’,৭৫ ‘,৭৬ টানা তিন বার ইউরোপসেরা বায়ার্ন মিউনিখ তাদের ইতিহাসের সেরা সময় পার করছে। ১৯৭৭ সালে অলরেডদের প্রথম ইউরোপসেরা করে বাভারিয়ানদের একচ্ছত্র আধিপত্যের অবসান করে পেইসলির লিভারপুল।প্রথমবার ইউরোপ সেরা হয়ে বায়ার্নের টানা ডমিনেশন তননছ করে দিয়ে পেইসলির সেই বিখ্যাত উক্তিটি ইতিহাসেরও অংশ হয়ে যায়। তার উক্তিটি ছিল,
“This is the second time I’ve beaten the Germans here… the first time was in 1944. I drove into Rome on a tank when the city was liberated. If anyone had told me I’d be back here to see us win the European Cup 33 years later I’d have told them they were mad! But I want to savour every minute of it… which is why I’m not having a drink tonight. I’m just drinking in the occasion.”
১৯৭৭ ছাড়াও পেইসলির লিভারপুল ৭৮’ ও ৮১’ সালে ইউরোপ সেরা হন আরও দুবার। ফুটবল ইতিহাসে মাত্র তিনজন ম্যানেজারই তিনবার ইউরোপসেরা হতে পেরেছেন। কার্লোস আনসেলত্তি ও জিনেদিন জিদানের সাথে বব পেইসলিও একজন। ১৯৭৪-৮১ টানা আট বছর পেইসলির অধীনে লিগ চ্যাম্পিয়ন অথবা লিগ রানার্সআপ হয় লিভারপুল। অলরেডদের হয়ে মাত্র ৯ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে প্রতিবছর অন্তত একটি মেজর শিরোপা জিতেন পেইসলি। মাত্র একটি এফএ কাপ ব্যাতীত লিভারপুলের হয়ে সম্ভব্য সবকিছুই জিতেছেন।
১৯৭৭ সালে এফএ কাপের ফাইনালেও উঠেছিল; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাইভাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে রানার্সআপ হতে হয়। নাহয় প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ের স্বাদও নিতে পারত পেইসলির লিভারপুল। অলরেডদের হয়ে রবার্ট পেইসলি সব মিলিয়ে ৫৩৫টি ম্যাচে কোচিং করিয়ে ম্যাচ জিতেন ক্লাব রেকর্ড ৩০৮ ম্যাচ, ড্র করেন ১৩১ এবং বাকী ৯১টি ম্যাচ হারেন।
ক্লাব লিভারপুলের পেইসলির ক্যারিয়ার স্ট্যাটিসটিকস ফলোআপ করলে যা বুঝা যায়, তিনি ছিলেন প্রচন্ড হার না মানার মানসিকতার মানুষ। নিজের সামর্থ্যের প্রতি কখনোই বিন্দুমাত্র সন্দিহান ছিল না তার। লিভারপুলের পুরো টিমটারে একই সুতায় বেধে রাখতে পেরেছিলেন। সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পরও ডাগলিশ, ইয়ান রাশ ও কেনিডিদের অন্তরে অ্যানফিল্ডের মায়ার বাধনটি বেধে দিতে পেরেছিলেন।তিনি খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন এক মানসিক শক্তিতে বলীয়ান করতে পেরছিলেন যার ফলে খেলোয়াড়রা মাঠে পুরো নব্বই মিনিটই যন হার না মানা মানসিকতা দিয়ে লড়ে যেত।
পেইসলি ছিলেন অনিন্দ্য সুন্দর ফুটবলের পূজারি। ফুটবলটাকে তিনি সত্যিকারে উপভোগ করেছিলেন। তাই প্রচন্ড এটাকিং মাইন্ডের বব এটাকিং ফুটবলের সাথে কখনোই আপোষ করেন নাই। প্রায়ই তিনি একটা কথা বলতেন, ‘ফুটবল একটা সুন্দর খেলা, এটাকে সুন্দরভাবেই খেলা উচিত।’
তার অসামান্য ফুটবল মস্তিষ্ক ও নেভার গিভ আপ মানসিকতা লিভারপুল তো বটেই মুগ্ধ করেছিল পুরো আপমর দুনিয়াকে। একজন অনামি অখ্যাত ব্যক্তিও যে নিজের ইচ্ছাশক্তির বলে দুনিয়াকে বলে দিতে পারে হোয়াট আই এম, আই এম এ উইনার; পেইসলি তাই করে দেখিয়েছিলেন। লিভারপুলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার স্যার কেনি ডাগলিশও তার সম্পর্কে বলেন,
“There was only one Bob Paisley and he was the greatest of them all. He went through the card in football. He played for Liverpool, he treated the players, he coached them, he managed them and then he became a director. He could tell if someone was injured and what the problem was just by watching them walk a few paces. He was never boastful but had great football knowledge. I owe Bob more than I owe anybody else in the game. There will never be another like him.”
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে প্রায় ৪৪টি বছর লিভারপুলের হয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেই অবশেষে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। অ্যানফিল্ড ছাড়ার আগে জো ফান ও স্যার কেনি ডাগলিশের মত যোগ্য উত্তরসূরীদেরও রেখে যান যারা অনেক দিন বিল শ্যাঙ্কলি ও পেইসলির সাফল্যের এই ধারাটিও অব্যাহত রেখেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ১৪ই ফেব্রুয়ারী আঞ্জহেইমার সমস্যাজনিত কারণে ইংলিশ ক্লাব ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব এবং ক্লাব লিভারপুলের ইতিহাসেরও সেরা এই মানুষটি মৃত্যুবরণ করেন। লিভারপুল শহরে তার বাড়ীর পাশে সেন্ট পিটার চার্চে তাকে সমাহিত করা হয়।
লেখা শুরু করেছিলাম রবার্ট পেইসলি ও মার্ক হিউজের আইকনিক দৃশ্যটি দিয়ে। শেষও করব তা দিয়েই।
দীর্ঘ অনেক বছর পর ইউরোপীয়ান কম্পিটিশনে লিভারপুল সাফল্যের ধারায় ফিরছে। গেলবারই চ্যাম্পিয়নস লীগে অল ইংল্যান্ড ফাইনালে স্পার্সদের হারিয়ে ইউরোপ জয় করে। সাফল্যের এই দিনে নিজেদের ইতিহাসের সেরা ম্যানেজারকে স্মরণ করতে ভোলেনি অলরেডরা। এই বছরের জানুয়ারীতে অ্যানফিল্ডের পাশে পেইসলি ও হিউজের সেই আইকনিক দৃশ্যের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। যা উন্মোচন করেন ইয়ান রাশ, ফিল থম্পসন ও স্যার কেনি ডাগলিশের মত ক্লাবের সব লিজেন্ডারি ফুটবলাররা। প্রায় ৮ ফিটের এই ভাস্কর্যের নিচে খোদাই করে লিখে দেওয়া হয় লিভারপুল নিয়ে পেইসলির করা অমরবাণীটি,
I love the city and the people here. This club has been my life. I would go out and sweep the street and be proub to do it for Liverpool FC if they asked me to.