তামিমদের মাটিতে নামাল দক্ষিণ আফ্রিকা

গোলাপী পোশাক মানেই যেন অপ্রতিরোধ্য এক দক্ষিণ আফ্রিকা। পিংক জার্সিতে আফ্রিকানদের জয়ের হার ৮০ শতাংশ ম্যাচেই। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পিংক ডে ম্যাচে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং শিবির। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। মাত্র ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

এরপর ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের ৬০ রানের জুটি আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু দলীয় ৯৪ রান শামসির স্পিন ভেলকিতে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচে তখন চরম বিপর্যয়ে সফরকারীরা।

সপ্তম উইকেটে আফিফের সাথে হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দু’জনে মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন বাংলাদেশের রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত এক ফিফটি তুলে নেন আফিফ। দু’জনে ব্যাটে সপ্তম উইকেটে ৮৬ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ!

এই দু’জনের ব্যাটে চড়ে ২২০-২৩০ পর্যন্ত যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশী সমর্থকরা। কিন্তু আবারও যমদূত রূপে হাজির রাবাদা! ৪৬ তম ওভারে আফিফ ও মিরাজকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুঁকে দেন রাবাদা। শিকার করেন অসাধারণ এক ফাইফর। আফিফ ৭২ ও মিরাজ ফিরেন ৩৮ রানে।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা।

জবাবে সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে কুইন্টন ডি কক ও জেনম্যান মালানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৭২ বলে ৮৬ রান! একপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন কক। এরপর দলীয় ৮৬ রানে মেহেদি মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৪০ বলে ২৬ রানে ফিরেন মালান।

ৎএরপর দ্রুতই ফিরেন ককও। সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে আফিফের ব্রিলিয়ান্ট এক ক্যাচে ফিরেন কক। ৪১ বলে ২ ছক্কা ও ৯ চারে খেলেন ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবে এরপরের অনেকটা পথ সহজেই পারি দেন কাইল ভেরেইনে ও টেম্বা বাভুমা।

তৃতীয় উইকেটে এই দু’জনের জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। ১৭৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও ভেরেইনের ফিফটিতে ডাসেনের সাথে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ১৯৪/৯ (৫০ ওভার); আফিফ ৭২(১০৭), মিরাজ ৩৮ (৪৯), মাহমুদউল্লাহ ২৫(৪৪); রাবাদা ১০-০-৩৯-৫, এনগিডি ১০-২-৩৪-১, শামসি ১০-১-২৬-১।

দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৯৫/৩ (৩৭.২ ওভার); ডি কক ৬২(৪১), কাইল ভেরেইনে ৫৮(৭৭)*, বাভুমা ৩৭(৫২); সাকিব ৭-০-৩১-১, মিরাজ ১০-০-৫৬-১।

ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link