অভিজ্ঞতাই রিয়াদের প্রধান অস্ত্র

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ত এবারের বিশ্বকাপে দেখাতে পারেন নিজের ফেলে আসা দিনের ঝলক। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে ২০১৫ বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই শতকগুলো। 

পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। বাংলার বেশ পুরনো প্রবাদ। সেদিক বিবেচনায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ত এবারের বিশ্বকাপে দেখাতে পারেন নিজের ফেলে আসা দিনের ঝলক। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে ২০১৫ বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই শতকগুলো।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই শূন্যের কোটায়। বয়সের কারণে কার্য্যকারিতা কমেছিল তার। তাইতো দলের বাইরে ছিলেন লম্বা সময়। এই সময়টা একেবারেই হেলায় দিন পার করেছেন তিনি তা কিন্তু নয়।

নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নিজের ফিটনেসের কাজ করেছেন। ব্যাটিংয়ে তার দূর্বলতা ছিল। সেসব নিয়ে কাজ করেছেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে তার জায়গা হয়েছে বিশ্বকাপ দলে। এই সুযোগটা মোটেও হাতছাড়া করতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অন্তত চাইবেন না।

দলের ভারসাম্য়ের জন্যে তিনি বেশ ভাল সংযুক্তি বলা চলে। তরুণ ক্রিকেটাররা দলে রয়েছেন। সাথে অনভিজ্ঞ, স্বল্প অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশ্রণ হয়েছে। বাস্তবতা বলে রিয়াদ একাদশে সুযোগ খুব একটা পাবেন না। অন্তত শুরুর দিকে। পেছনের কারণ দলের কম্বিনেশন।

তরুণ ক্রিকেটাদের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স তাদের পক্ষে। ঠিক সে কারণেই সাইড বেঞ্চে খানিকটা সময় কাটাতেই হবে রিয়াদকে। যদিও সেখানে থেকেও রিয়াদ দলের জয়ে অবদান রাখতে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাতে আখেরে লাভটা বাংলাদেশেরই হবে।

তবে তিনি সম্ভবত প্রত্যক্ষভাবেই দলের সাফল্যে রাখতে চাইবেন অবদান। সেই সুযোগ যখন আসবে নিশ্চিতভাবেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবেন। তিনি ফুরিয়ে যাননি সেই বার্তাই দিতে চাইবেন। নির্ভরযোগ্য এক ব্যাটার হিসেবে দলের খারাপ সময়ে হাল ধরতে চাইবেন। তার সামর্থ্যও রয়েছে তেমনটি করবার।

দীর্ঘ পথচলায় বাংলাদেশকে বহুবার খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন রিয়াদ। ব্যাট হাতে সেসব দিনগুলোই ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন ভারতের মাটিতে। তাছাড়া বল হাতে এখন আর খুব একটা দেখা মেলে না রিয়াদের। যদিও বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাত ঘুরিয়েছেন তিনি।

উইকেট শিকারের সেই ক্ষুরধার বিষয়টি এখন নেই। তবে রান আটকে রাখতে তিনি হতে পারেন ফলপ্রসূ। তাছাড়া তার ফিল্ডিং নিয়েও নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেটার সমাধান হতে পারেন সর্বোচ্চ নিবেদন। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে রিয়াদ নিজেকে একেবারে নিঙড়ে নিশ্চয়ই দেবেন।

সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের মত এটাই হতে পারে রিয়াদের শেষ বিশ্বকাপ। একটা স্মৃতি অন্তত তৈরি করে যেতে চাইবেন রিয়াদ। নিজের জন্যে রেখে যাওয়া সেই স্মৃতি নিশ্চয়ই হবে ইতিবাচক। তার এবং দলের জন্যে। রিয়াদের অভিজ্ঞতায় তরুণরাও একটু নির্ভরতা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবে। সাথে টিম ম্যানেজমেন্টও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...