ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় লিগের নাম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। দুনিয়ার সেরা ক্রিকেটাররাও এই লিগে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন। দর্শকরাও তুমুল আগ্রহ নিয়ে বসে থাকেন সেরা ক্রিকেটারদের এই লড়াই দেখতে। বড় বড় কোম্পানি গুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে এই আসরকে কেন্দ্র করে। ক্রিকেটের বাইরেও আইপিএলের আছে এক ভিন্ন অর্থনৈতিক বাজার।
এছাড়া আরো নতুন দুটি দল আইপিএলে যোগ হবার ঘোষণা এসেছে। এই দুই দলের নিলাম শুরু হবে হবে এই মাসের ২৫ তারিখ। ভারতের বড় বড় কোম্পানি ও ধনকুবেররা এই দলগুলো কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সবমিলিয়ে ২২ টি বড় বড় প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ গ্রহণ করার কথা। এরমধ্যে অন্যতম বড় নাম হিসেবে আছে আদানি গ্রুপ। এছাড়া জিন্দাল স্টিল, হিন্দুস্থান টাইমস ইন্ডিয়া সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে এই তালিকায়।
এছাড়া ল্যান্সার ক্যাপিটালও এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামের তালিকায় আছেন। তিনি এমন এক পরিবারের সদস্য যারা বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একটি বড় অংশীদার। এছাড়াও সবমিলিয়ে ২২ টি কোম্পানি এই নিলামের ব্যাপারে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ভারতের ছয়টি শহরের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য। এরমধ্যে যেকোন দুইটি শহরের নামে তৈরি হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। যার নিলাম হবে দুবাইয়ে এই মাসের ২৫ তারিখ। এই দলগুলোকে ২০২২ সালের আইপিএলেই মাঠে নামতে দেখা যাবে।
আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করে বেশ মোটা অঙ্কের টাকাই কামাতে যাচ্ছে বিসিসিআই। নিলামে দলগুলোর বেইস প্রাইজ ধরা হয়েছে ২০০০ কোটি রূপি। এছাড়া নিলামে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তত গত তিন বছরে ৩০০০ কোটি রূপির টার্ন ওভার দেখাতে হবে। এছাড়া প্রতিটা ইনভেস্টরকে আলাদা ভাবে ২৫০০ কোটি রূপির টার্নওভার দেখাতে হবে।
এই সংখ্যাগুলো বেশ বড় মনে হলেও যারা নিলাম করতে আগ্রহী তাঁদের সবার ওয়েব সাইটে এরচেয়ে বেশি টার্নওভার দেখা যায়। আদানী গ্রুপের বাৎসরিক টার্নওভার দেখা যায় ১১২.৪৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া জিন্দাল স্টিলের বাৎসরিক টার্নওভার আছে ৫.৫ বিলিয়ন ডলার।
সবমিলিয়ে ২৫ তারিখই জানা যাবে পরের বছর আর কোন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি অন্তর্ভুক্ত হবে। তাহলে ২০২২ আইপিএলে মোট ১০ টি দল খেলতে দেখা যাবে।