জোয়াও পেদ্রোর স্লাইডিং পাস যখন ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্স লাইন ফাঁকি দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল ম্যাথিউ ও’রিলির পায়ে তখন জয় আর তাঁদের মাঝে ব্যবধান হয়েছিলেন কেবল এডারসন। ও’রিলি অবশ্য সেই বাঁধা উতরে গিয়েছেন ঠান্ডা মাথায়, বল পাঠিয়েছেন জালে। তাতেই ফেটে পড়েছে পুরো অ্যামেক্স স্টেডিয়াম – ঘরের মাঠে এমন একটা জয় অনেকদিন মনে রাখবে ব্রাইটন।
মনে রাখবে তরুণ ও’রিলিকেও; ম্যানসিটির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত একটা মুহূর্তের জন্ম দিলেন তিনি, তাঁর গোলেই সিটিকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিলো ব্রাইটন। ক্যারিয়ারের সূচনা বোধহয় এর চেয়ে রঙিন হতে পারতো না।
যদিও ম্যানসিটিকে হারানো অসম্ভব কিছু নয় এখন, হারের বৃত্তে ঘুরতে থাকা দলটা আগের তিন ম্যাচে হেরেছে টটেনহ্যাম, বোর্নমাউথ আর স্পোর্টিং সিপির কাছে। এবার টানা চার হারের রেকর্ডও গড়লো তাঁরা, সবশেষ ২০০৬ সালের আগস্টে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁদের।
তবে সিটিজেনদের শুরুটা প্রত্যাশিত ছিল, আক্রমণাত্মক ফুটবলে আধিপত্য দেখিয়েছিল তাঁরা। আসি আসি করে গোলও চলে এসেছিল ২৩ মিনিটের সময়, মাতেও কোভাচিচের থ্রু পাস থেকে আর্লি হাল্যান্ড আরো একবার প্রমাণ করেছিলেন নিজের সামর্থ্য; দুই সেন্টারব্যাকের মাঝের স্পেস দিয়ে ঢুকে গোল আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এরপর একাধিক সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও লিড বাড়াতে পারেনি পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, পাঁচ পাঁচটা সেভ দিয়ে একাই তাঁদের দমিয়ে রেখেছিলেন বার্ট ভারব্রুগেন – তবে স্বাগতিকরা উদযাপনের উপলক্ষ পায় ৭৮ মিনিটের সময়, জটলার মধ্যে থেকে বল বের করে সরাসরি জালে শট নেন, সমতায় ফেরে তাঁর দল।
পরের গল্প তো আগেই বলা শেষ, মূলত কাউন্টার এটাক সামলাতে না পারার কারণে ভুগতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। রদ্রির অভাব আসলে কেউই পূরণ করতে পারছেন না, রিকো লুইস কিংবা কোভাচিচ কেউই আসলে ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর মত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এভাবে চলতে থাকলে টেবিলের আরো নিচের দিকে চলে যাবে দলটি।