নিয়ম করে কেবল ব্রাজিলের খেলা দেখেন আপনি, লেফট উইংয়ে ঘুরেফিরে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের নামটাই চোখে পড়বে। তবে একই পজিশনে খেলা আরেকটা প্রতিভা পড়ে আছে ব্রাজিলের বেঞ্চে, তিনি গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। সেই নামটা কালেভদ্রে শুনলেও সামর্থ্য সম্পর্কে হয়তো জানেন না। সেজন্য চোখ রাখতে হবে প্রিমিয়ার লিগে, চোখ রাখতে হবে আর্সেনালের ম্যাচে।
এই যেমন লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটা, এক গোল আর এক অ্যাসিস্ট করে অন্যতম সেরা পারফর্মার বনে গিয়েছেন এই তারকা। জুরিয়ান টিম্বারের বাড়ানো বলটা তিনি পেয়েছিলেন ডি বক্সের ঠিক ভিতরে, এরপর ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে কোন ভুল হয়নি তাঁর।
বিরতির আগে অবশ্য এই উইঙ্গার আরও একবার লেস্টারের সর্বনাশ ডেকে আনেন। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ততায় গোলের সহজ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন লিওনার্দো ট্রসওয়ার্ডকে। তাতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গানার্সরা।
ভিনি জুনিয়রের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ব্রাজিলের একাদশে মার্টিনেল্লির প্রথম পছন্দ না হওয়াই স্বাভাবিক বটে। কিন্তু ভরসা রাখলে বিশ্ব সেরাদের মতই পারফর্ম করতে পারবেন সেই বার্তাটুকু অন্তত দিয়ে রাখলেন তিনি – এখন প্রশ্ন, ব্রাজিলের কোচ কি লেস্টারের বিপক্ষে তাঁর খেলা দেখেছেন, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন?
যদিও এই তারকার পারফরম্যান্স যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য, জেমস জাস্টিনের জোড়া গোলে আর্সেনালকে প্রায় ধরাশায়ী করেই ফেলেছিল সফরকারীরা। তবে অন্তিম ক্ষণের নাটকীয়তায় রক্ষা পায় আর্তেতার শিষ্যরা।
শেষ মুহুর্তে গোল করে দলকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন ট্রসওয়ার্ড। যদিও ৯৯ মিনিটের সময় ভাগ্য গুণে গোল পেয়ে যান কাই হাভার্টজ। তাতেই সমানে সমানে লড়াই হওয়া ম্যাচটার স্কোরবোর্ডে ফুটে উঠলো একতরফা আধিপত্য।
এর মধ্য দিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তপোক্ত করলো দলটি, আপাতত ছয় ম্যাচ শেষে তাঁদের পয়েন্ট ১৪! কেবল লিভারপুল আর অ্যাস্টন ভিলার সুযোগ আছে ষষ্ঠ রাউন্ডের পর তাঁদের ছাড়িয়ে যাওয়ার।