মায়াঙ্ক যাদবের গতির ঝড়ে জিতল লখনৌ

জাতীয় দলের আশেপাশে না থাকলেও নিজের ব্যাটে মরচে পড়তে দেননি শিখর ধাওয়ান, আগের মতই পারফরম করে যাচ্ছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। সবশেষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেললেন ৫০ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত নক। যদিও তাঁকে ছাপিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে গিয়েছেন অর্ধ পরিচিত মায়াঙ্ক যাদব।

ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার ছুঁই ছুঁই গতিতে বোলিং করা এই পেসার মুহূর্তের মাঝে বদলে দিয়েছেন ম্যাচের গতিপথ। ইনিংসের মাঝপথে টানা চার ওভার বল করেছেন তিনি, আর শেষ তিন ওভারে শিকার করেছেন তিন উইকেট। তাতেই ২১ রানের জয় পেয়েছে নিকোলাস পুরান, লোকেশ রাহুলের দল।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই রাহুল ও দেবদূত পাদ্দিকালের উইকেট হারায় লখনৌ। তবে ওপেনার কুইন্টন ডি কক প্রাথমিক চাপ সামাল দেন; মার্কাস স্টয়নিসকে সঙ্গে নিয়ে এই বাঁ-হাতি বোর্ডে যোগ করেন ৩৩ রান, এর ফলে ম্যাচে ফিরে দলটি। স্টয়নিসের বিদায়ের পর পুরান দলের হাল ধরেন।

প্রোটিয়া তারকার সঙ্গে তাঁর ৪৭ রানের জুটি বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। যদিও ৫৪ রানে ডি কক আর ৪২ করে পুরান প্যাভিলিয়নে ফিরলে শঙ্কা জেগে উঠেছিল। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়া সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন, মাত্র ২২ বলে ৪৩ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি। তাতেই প্রতিপক্ষকে ২০০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয় তাঁর দল, অবশ্য লোয়ার মিডল অর্ডারের বাকিরা রান পেলে লক্ষ্য আরো বড় হতে পারতো।

পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাব রীতিমতো উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে। দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং শিখর ধাওয়ান প্রথম ছয় ওভারে করেন ৬১ রান। দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে এগারো ওভার শেষ হওয়ার আগেই দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্কের প্রবেশ করে।

জয়ের সমীকরণ যখন সহজ মনে হচ্ছিলো পাঞ্জাবের কাছে তখনি দৃশ্যপটে হাজির হন মায়াঙ্ক যাদব। বেয়ারস্টো, প্রভুসিমরান আর জীতেশ শর্মাকে আউট করে একাই লখনৌকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন।

বাকিটা সময় ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর কোন কোন সুযোগই দেননি মহসিন খানরা। শেষ পর্যন্ত তাই আর কোন চমক দেখা যায়নি, নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ২১ রান দূরে থামতে হয়েছে সফরকারীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link