ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অভিষেক ম্যাচেই গতির ঝড় তুলেছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। পাঞ্জাব কিংসকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখা গেলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষেও; দলটির শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল তাঁর গতির বিপরীতে।
চার ওভার হাত ঘুরিয়ে এই বোলার নিয়েছেন তিনটি উইকেট, বিনিময়ে খরচ করতে হয়েছে কেবল ১৪ রান। তাঁর বদৌলতেই ফাফ ডু প্লেসিসদের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ২৮ রানে স্বাগতিকদের হারিয়েছে লোকেশ রাহুলের দল।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে আসেন এই পেসার। সেই ওভারে ১৫১ কিমি/ঘণ্টা গতির একটা গোলা ছোঁড়েন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দিকে, ফলাফল পুল শট খেলতে গিয়ে আউট অজি তারকা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেক অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে আউট করেন তিনি, এবার সরাসরি বোল্ড – এক্সপ্রেস বোলিংয়ের অনন্য প্রদর্শনী বটে।
নিজের শেষ দুই ওভারেও একই ধারা বহাল রেখেছেন এই তরুণ; এসময় মোটে ৪ রান খরচ করেছেন তিনি, বিনিময়ে শিকার করেছেন এক উইকেট। তাতেই বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছিল। এককথায় বলতে গেলে, তাঁর গতি আর আঁটসাঁট লাইন লেন্থের কোন জবাব জানা ছিল না ব্যাটারদের।
তবে স্রেফ সংখ্যা দিয়ে তাঁর বোলিং ঝড় অনুভব করা যাবে না; একেবারে নিয়ন্ত্রিত অ্যাকশনে অনায়াসে ঘন্টায় ১৫০ কিমির ডেলিভারি করে যাচ্ছেন এই উদীয়মান তারকা; অথচ প্রায় সব গতি-নির্ভর পেসারদের আরো জটিল অ্যাকশন দেখা যায়। অর্থাৎ তাঁর ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকি তুলনামূলক কম।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, হুট করেই মায়াঙ্ক যাদবের আবির্ভাব জাতীয় দলের নির্বাচকদের মনে ভাবনার জন্ম দিয়েছে এমন সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিশেষ করে মোহাম্মদ শামির ইনজুরি তাঁকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে বাধ্য করবে।
তাছাড়া একজন এক্সপ্রেস পেসারের অভাব বোধহয় অনেক আগ থেকেই বোধ করছে রোহিত শর্মার দল – তাই তো এই ডানহাতি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরম করতে পারলে কেবলমাত্র জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়বেন না, গতির ঝড়ে দরজা ভেঙেই বিশ্বকাপ দলে খেলবেন।