ভিনি-এমবাপ্পে, মেলায় হারিয়ে যাওয়া দু’টি ভাই

শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে, ভিনিসিয়াসের গোল এবং মড্রিচের ম্যাজিক ২-১ গোলে সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে মান রক্ষা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, এই পারফরম্যান্স নিয়ে পরের ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াই করা যাবে তো?

কার্লো আনচেলত্তির বাঁকানো ভ্রু জোড়া উচু হয়েছে খানিকটা। রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা জানেন, সময় হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা জানেন, সময় হয়েছে। অলৌকিক কিছু ঘটবে ফুটবল মাঠে, অগোছালো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেবে রিয়াল মাদ্রিদ, দ্য গ্রেটেস্ট ক্লাব ইন দ্য ফুটবল হিস্টোরি!

অলৌকিক ঘটনা ঘটানোর দায়িত্ব নিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ভাগ্য গুনে কামাভিংগার ইন্টারসেপ্ট করা বল এসে হাজির হয় এমবাপ্পের পায়ে। সময় নষ্ট করার সময় কোথায়! প্রায় ২০ গজ দূর থেকে গোল লক্ষ্য করে গোলা ছুটে নিমিষেই।

‘টপ রাইট কর্নার’ – বরাবর, ফুটবলের ভাষায় যাকে বলে একেবারে ‘পারফেক্ট গোল স্কোরিং প্লেসমেন্ট’। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এমন শটে হাত লাগানোর সাধ্যি কার! স্বাগতিক দর্শকরা বিমূঢ় হয়ে দেখলেন এম্বাপ্পে ম্যাজিক।

খেলার তখন মাত্র ২০ মিনিট। রিয়ালের সমর্থকেরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন, এবার অন্তত রিয়াল গোছানো ফুটবল খেলবে। কিন্তু তা আর হলো কই! উল্টো স্বাগতিক সেল্টা ভিগো চেপে বসে রিয়াল মাদ্রিদের উপরে। একের পর এক আক্রমণে বিপর্যস্ত হতে থাকে মাদ্রিদ রক্ষণভাগ।

টানা আক্রমণে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫১ মিনিটের মাথায় সোয়েডবার্গের মাধ্যমে গোল শোধ করতে সক্ষম হয় সেল্টা ভিগো। রিয়ালের তখন ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।

সেখানেই দৃশ্যপটে আনচেলত্তির ‘তুরুপের টেক্কা’ লুকা মড্রিচের আগমন। ৬৬ মিনিটে তিনজন ডিফেন্ডারকে ভেদ করে ভিনিসিয়াসের উদ্দেশ্যে যে নিপুণ পাস দিলেন, তা ইর্ষায় ভোগাবে যে নামকরা কোন তীরন্দাজকেও। মাপা, সূক্ষ্ম, নিপুণ। ভিনিসিয়াসও গোল করতে ভুল করেন নি।

অবশ্য মাঠে নেমেই অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন লুকা মড্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সব থেকে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা।

শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে, ভিনিসিয়াসের গোল এবং মড্রিচের ম্যাজিক ২-১ গোলে সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে মান রক্ষা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, এই পারফরম্যান্স নিয়ে পরের ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াই করা যাবে তো?

Share via
Copy link