দ্য ডিসিশন ডে। মেজর লিগ সকারের শেষ ম্যাচ ডে-কে এই নামেই ডাকা হয়। ইন্টার মিয়ামির জন্য অবশ্য শেষ দিনে হিসেব-নিকেশের খুব একটা বালাই ছিল না, সাপোর্টাস শিল্ড জেতা হয়ে গেছে হাতে ম্যাচ রেখেই।
সে কারণেই কি না কে জানে, শুরুর একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে একটা হিসেব মেলানো বাকি ছিল। এমএলএস এর ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের ইতিহাস। ইতিহাস গড়তে প্রয়োজন ছিল পূর্ণ তিন পয়েন্টের। ৫৮ মিনিটের সময় বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে সেই সহজ কাজটাই করেছেন ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।
ম্যাচে লিওনেল মেসির প্রথম যে বল টাচ ছিল, সেটাই ছিল ডিফেন্স ভেদ করে জর্দি আলবাকে দিয়ে দলকে এগিয়ে দেয়া অ্যাসিস্ট। এ যেন রোজকার দৃশ্য। দল বিপদে থাকবে, লিওনেল মেসি উদ্ধার করবেন। দৈনন্দিন জীবনে নাওয়া-খাওয়া, ঘুমের মতই স্বাভাবিক কোন বিষয়।
কিন্তু মেসি তাতে থামবেন কেন? সমর্থকদের শেষ বেলায় দেখানো চাই আরো একটা মেসি ঝড়। ১১ মিনিটের একটা ঝড় উঠলো চেজ স্টেডিয়ামে। তাতেই লণ্ডভণ্ড হল প্রায় সমানতালে লড়তে থাকা নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনের।
৭৮ মিনিটে ডি বক্সের বাহির থেকে বাম পায়ের জোড়ালো শটে গোল করে শুরু, ৮৯ মিনিটে যখন বাম পায়ের আলতো ছোঁয়া দিয়ে থামলেন, ততক্ষনে পূর্ণ হয়েছে গোলের হ্যাটট্রিক।
ইন্টার মিয়ামির হয়ে লিওনেল মেসির প্রথম হ্যাট্রিক, গত ৫ দিনের মধ্যে মেসির দ্বিতীয় হ্যাট্রিক। খেলা দেখে কে বলবে, এই মানুষটার বয়স ইতোমধ্যেই ৩৭ বছর পার হয়েছে!
অবশ্য লুইস সুয়ারেজের অবদানকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। মেসি মাঠে নামার আগে একাই লড়েছেন নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনের বিপক্ষে। ম্যাচের শুরুতেই ২ গোলে পিছিয়ে থাকা দলকে ২ গোল করে সমতায় ফিরিয়েছেন। মেসিকে দিয়েও করিয়েছেন ২ গোল।
আরেক সাবেক বার্সা তারকা জর্দি আলবাও করেছেন জোড়া অ্যাসিস্ট। তাতেই ইন্টার মিয়ামি পেয়েছে ৬-২ গোলের সহজ জয়। মেসি, সুয়ারেজ, আলবা, ঠিক যেন পুরোনো দিনের মত।
ইন্টার মিয়ামির সুখের দিন যেন কাটছেই না। এবার সুখবর ভেসে এসেছে ফিফার কাছ থেকে। আগামী ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার জন্য নির্বাচিত হয়েছে মেসি-সুয়ারেজদের ক্লাব। আরো একবার জাদু দেখানোর পালা বিশ্বকাপের বিশ্ব মঞ্চে।