ব্রাজিলের জন্যই গলা ফাঁটাচ্ছেন মেসি!

সময় গড়াচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপের যবনিকাপাতের ক্ষণও দ্রুতই ডাকছে। ৩২ দলের মহাযজ্ঞ পেরিয়ে লড়াইটা এখন নেমে এসেছে শেষ ১৬ তে। সেই রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেও আবার ইতোমধ্যেই ৪ দলের শেষ আট নিশ্চিত হয়ে গেছে।

রাউন্ড অফ সিক্সটিনের লড়াইয়ের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করেছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পা হড়কালেও দুর্দান্তভাবেই তারা পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বকাপের ঠিক এমন অবস্থায় এসে মেসির দৃষ্টিতে এগিয়ে থাকছে কোন দল? রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচের পর কিছুটা অবসর সময় মিলেছিল মেসির। আর সেই সময়টাতেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এ নিয়ে তাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনার কথা।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ব্রাজিলকেই ফেবারিট বলে আসছিলেন মেসি। সেই ভাবনায় এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি তাঁর মাঝে।ব্রাজিলকে এখনো ফেবারিট মানছেন লিওনেল মেসি। ক্যামেরুনের কাছে তারা হারলেও শিরোপা দৌড়ে ঠিকই আছে নেইমারের দল।

এমন মন্তব্য টেনে তিনি বলেন, ‘যতটুকু পারা যায় বিশ্বকাপের সব খেলাতেই চোখ রাখছি। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি যে ব্রাজিল এ বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। ওরা দারুণ খেলছে। ক্যামেরুনের কাছে হেরে যাওয়ার পরও বিশ্বকাপের বড় দাবিদার ব্রাজিল।’

ব্রাজিলের পাশাপাশি মেসি আরো দুটি দলকেও শিরোপা দৌড়ে ফেবারিট মানছেন। সেই দুটি দল হচ্ছে ফ্রান্স আর স্পেন। এই দুটি দলের কথা টেনে তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স আর স্পেনও শক্তিশালী। দুটি দলই ভালো খেলছে। কখন কীভাবে খেলতে হবে, সেটা নিয়ে তাদের পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। আর এই দুটি দলের বলের প্রতি নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি। তাদের হারানো তাই যেকোনো দলের জন্যই কঠিন হবে।’

গত বিশ্বকাপের মতো এ বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। আর জার্মানির এবারের বাদ পড়াটা স্বয়ং মেসিকেও বেশ বিস্মিত করেছে। জার্মানির বাদ পড়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি খুবই অবাক হয়েছি। ওরা সবসময়ই সেরা দল।’

তিনি জার্মানির ব্যাপারে আরও বলেন, ‘ওদের দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। তাই ওদের বাদ পড়াতে বিস্মিত হয়েছি। তবে এ বিশ্বকাপ এটাও বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, কতটা কঠিন হচ্ছে সব দলগুলোর জন্য। এখানে সব দলই সমান। নামে কিছু এসে যায় না, আপনাকে জিততে হলে মাঠে প্রমাণ করেই জিততে হবে।’

রাউন্ড অব সিক্সটিনের লড়াই শেষে মেসিদের অবশ্য এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের লড়তে হবে ডাচদের বিপক্ষে। এবারের কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজেয়ই হয়ে আছে নেদারল্যান্ডস। মেসিদের তাই কোয়ার্টার ফাইনাল বাঁধা পেরোতে হলে ডাচ রক্ষণভাগ ভেঙ্গেই পার হতে হবে।

২০১৪ বিশ্বকাপে শেষবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। সেবারের সেই সেমিতে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ডাচদের হারিয়েছিল আলবিসেলেস্তারা। এবারও নিশ্চয় সেই দৃশ্যপটেরই পুনরাবৃত্তি চাইবে মেসিরা। কারণ দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে অধরা বিশ্বকাপের দিকেই তো চোখ তাদের।

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link