অদ্ভুত ক্যাচ নিয়ে চলছে বিতর্ক

চলছে অস্ট্রেলিয়ার ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ। আর সেখানে সিডনি সিক্সার্স আর ব্রিসবেন হিটের ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি ক্যাচ। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মাইকেল নেসারের ক্যাচটি ক্রিকেটীয় আইনে বৈধ হলেও এ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না।

চলছে অস্ট্রেলিয়ার ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ। আর সেখানে সিডনি সিক্সার্স আর ব্রিসবেন হিটের ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি ক্যাচ। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মাইকেল নেসারের ক্যাচটি ক্রিকেটীয় আইনে বৈধ হলেও এ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না।

গ্যাবায় ব্রিসবেন হিটের দেয়া ২২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সিডনি সিক্সার্স। শেষ ২ ওভারে সিডনির প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। মার্ক স্টিকিটির করা ১৯ তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান সিক্সার্স ব্যাটার জর্ডান সিল্ক। ১১ বলে তখন দরকার ২৪ রান।

পরের বলটি স্টিকিটি করেন অফ স্টাম্পের বাইরে। এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারেন সিল্ক। দুর্দান্ত এই শট নেসার তালুবন্দি করলেও ভারসাম্য না রাখতে পেরে বাউন্ডারির বাইরে চলে যান নেসার। বাউন্ডারির বাইরে বেরোনোর আগে যদিও বল শূন্যে ছুঁড়ে মারেন নেসার। তবে সেই বলটি বাউন্ডারির ভেতরে রাখতে পারেননি তিনি। এরপর বাউন্ডারির বাইরেই লাফিয়ে উঠে বলকে বাউন্ডারির ভেতরে পাঠিয়ে সেখান থেকে ক্যাচ নেন নেসার।

বাউন্ডারির কাছে ভারসাম্য না রাখতে পেরে বল শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে ক্যাচ ধরার ঘটনা অহরহ ঘটছে আধুনিক ক্রিকেটে। কিন্তু নেসারের এমন বাউন্ডারির বাইরে থেকে বল ভেতরে পাঠিয়ে ক্যাচ ধরার দৃশ্য দেখা যায় না খুব একটা। তৃতীয় আম্পায়ার বেশ কয়েকবার রিপ্লে তে দেখার পর আউট ঘোষণা করেন সিল্ককে। সিল্কের আউটের পর আর বেশি দূর আগাতে পারেনি সিক্সার্স। ২০৯ রানে অলআউট হয়ে তারা ম্যাচ হারে ১৫ রানে।

নেসারের ধরা ক্যাচটি ক্রিকেটের আইনসিদ্ধ কিনা এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন এই ক্যাচ নিয়ে। এই ক্যাচ নিয়ে টুইট করেছে ক্রিকেটের আইন প্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।

ক্রিকেট আইনের ১৯.৫.২ ধারা অনুযায়ী, একজন ফিল্ডার তখনই বাউন্ডারির বাইরে গেছেন বলে বিবেচনা করা হবে যদি ফিল্ডারের চূড়ান্ত স্পর্শ বাউন্ডারির ভেতরে পুরোপুরি না হয়। এ ধারায় ব্যাখ্যায় এমসিসি বলছে, এখানে দুটি ব্যাপারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বলের সাথে ফিল্ডারের প্রথম স্পর্শ বাউন্ডারির ভেতরে হতে হবে। বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে পা মাটিতে স্পর্শ করে ফিল্ডার বল ছুঁতে পারবেন না।

নেসার প্রথমবার বাউন্ডারির ভেতরেই বল স্পর্শ করেছিলেন, দ্বিতীয়বার স্পর্শ করার সময় তাঁর পা শূণ্যে ছিল আর শেষবার যখন স্পর্শ করেন তখন তিনি বাউন্ডারির ভেতরেই ছিলেন। এর আগে ২০২০ সালে বিগব্যাশে টম ব্যান্টনের সহায়তায় প্রায় এমন একটি ক্যাচ ধরেছিলেন ম্যাট র‌্যানশো।

মাইকেল নেসার এবার ক্যাচ ধরার পরেই বললেন, ‘আমি র‌্যানশোর ক্যাচটির কথা জানতাম। জানা ছিল না নিয়মটি পরিবর্তন হয়েছে কি না। ভাগ্যিস পরিবর্তন হয়নি। যদিও ক্যাচ ধরার সময় ভেবেছিলাম, চেষ্টা করে দেখা যাক।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...