স্বস্তির পরশ দিলেন মিরাজ

একা হাতে টেনে নিলেন বহুদূর। সম্ভবত জয়ের প্রচেষ্টা চালাবার মত রানটুকু করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

একা হাতে টেনে নিলেন বহুদূর। সম্ভবত জয়ের প্রচেষ্টা চালাবার মত রানটুকু করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে যাত্রায় নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে গেলেন। বাংলাদেশের লিড ৩০০ ছাড়িয়েছে তার মারা বাউন্ডারিতে। সেটা ৩৩১ অবধি পৌঁছেছে তারই বদৌলতে।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছে মিরাজ। বল হাতেও ছিলেন আবছায়া হয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের জন্যে কিছু তো অবদান রাখা চাই তার। সেই প্রত্যয়েই দারুণ এক ইনিংসই খেললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় রান যখন ২৪৮ তখন বাইশ গজে হাজির হয়েছিলেন মিরাজ।

সেখান থেকে তিনি অপরাজিত থেকেছেন দলীয় ৩৩১ রান অবধি। মাঝের সময়টায় সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে হারিয়েছেন। নুরুল হাসান সোহানের আগ্রাসনের দ্রুত সমাপ্তি ঘটেছে। নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামরা খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি।

তবুও একটা প্রান্ত থেকে রান তোলার কাজটা অব্যাহত রেখেছিলেন মিরাজ। দলের শেষের ৮৩ রানের মধ্যে ৫০ রানই এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে। দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। থেকেছেন শেষ অবধি অপরাজিত। অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল, তবুও যেন সুদৃঢ় মিরাজ।

দায়িত্ব নিয়ে দলের জন্যে খেলেছেন তো তিনি বহুবার। দলকে কখনো জয় এনে দিয়েছেন। কখনো বা সতীর্থের ইনিংসের জন্যে সহয়তা করে গেছেন। এ দফা যখন আরও একটি টেস্ট জয়ের হাতছানি, তখন আবারও মিরাজ হাজির দলের জন্যে।

শেষের দিকে গুরুত্বপূর্ণ রানই সংগ্রহ করেছেন। পাঁচ চারে নিজের পঞ্চাশ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। এই রানটুকুই হয়ত বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধানটা গড়ে দেবে। ৩০০ পেরিয়ে আরো যুক্ত হওয়া ৩১ রানই মানসিকভাবে পীড়া দেবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের।

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। মিরাজ তার কাজটা ব্যাট হাতে করেছেন। বল হাতেও তাকে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে হবে। তাইজুল, নাঈমরা যোগ্য সঙ্গ দিলে, আরও এক ইতিহাসের সাক্ষী হবে বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...