মরগানের কাছে সাকিবই বিশ্বসেরা

ধর্মশালায় বাংলাদেশের পরবর্তী বাঁধার নাম ইংল্যান্ড। এ ম্যাচেই মাইক্রোফোন হাতে দেখা যাবে ইয়ন মরগানকে। আর সেই ম্যাচের আগের দিনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কাপ্তানকে প্রশংসায় ভাসালেন ইংল্যান্ডের এ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

সাকিব আল হাসান আর ইয়ন মরগান। বিশ্ব ক্রিকেটে এ দুই পরিচিত মুখের ক্রিকেটের শুরুটা হয়েছিল প্রায় একই সময়ে। ২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে একজন লড়েছিলেন বাংলাদেশের হয়ে, অন্যজন আয়ারল্যান্ডের হয়ে।

সময়ের ব্যবধানে অবশ্য পাল্টে গেছে অনেক কিছু। আইরিশ মরগানের পরিচিতি হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হিসেবে। যদিও ক্রিকেট ছেড়ে এখন ধারাভাষ্য জগতে নবাগত মুখ মরগান। আর সাকিব আল হাসান এবারের বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশকে।

ধর্মশালায় বাংলাদেশের পরবর্তী বাঁধার নাম ইংল্যান্ড। এ ম্যাচেই মাইক্রোফোন হাতে দেখা যাবে ইয়ন মরগানকে। আর সেই ম্যাচের আগের দিনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কাপ্তানকে প্রশংসায় ভাসালেন ইংল্যান্ডের এ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর মতে, ক্রিকেট ইতিহাসে সাকিবের মতো অলরাউন্ডারের দেখা পাওয়া বেশ কঠিনই বটে।

এ নিয়ে মরগান বলেন, ‘সাকিব অবিশ্বাস্য এক ক্রিকেটার। এমন ধারাবাহিক পারফর্মার খুব কমই পাওয়া যায়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সে। এই অবস্থায় সে বছরের পর বছর ধারবাহিক পারফর্ম করেই এসেছে। এটা সাকিবের পঞ্চম বিশ্বকাপ। টানা এমন বিশ্বকাপ খেলতে পারাও কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাপার। এমন ক্রিকেটার খুব বেশি নেইও বর্তমানে। ক্যারিয়ার জুড়ে দাপটের সাথে পারফরম্যান্সই তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের তালিকায় এনেছে।’

এরপর বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে মরগান বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন বড় ম্যাচ জেতে, তাদের মূল ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতায় একটা ইতিবাচক দিক হচ্ছে- শান্ত, মিরাজের মতো তরুণরা এগিয়ে এসেছে। তাঁরা খুব ভালো করেছে। আর এটিই দলের অনেকটা চাপ সরিয়ে দেয়। বড় মঞ্চে সাধারণত অভিজ্ঞদের ওপর সেই চাপটা থাকে। তরুণদের ভাল করা তাই অনেক স্বস্তির ব্যাপার। বাংলাদেশ দলটার র তরুণ ক্রিকেটাররা সামনেও এমন পারফর্ম করলে সাকিবের কাঁধ থেকে অনেক চাপ সরে যাবে। আর এটা ওর অধিনায়কত্বেও অনেক সাহায্য করবে।’

বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে ৪ ম্যাচের লড়াইয়ে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ড এগিয়েছে সমান তালে। দু’দলই একে অপরের বিপক্ষে ২ টি করে ম্যাচে জয়লাভ করেছে। শেষ ৩ বারের লড়াই বিবেচনায় আবার টাইগাররাই এগিয়ে। ২০১১ এর পর ২০১৫ বিশ্বকাপেও মরগান নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে জয়টা অবশ্য পেয়েছিল ইংল্যান্ডই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...