এক আসর কাঁপানো শিকারি

ব্যাটসম্যানদের সেসব নতুনকে ঠেকাতে বোলারদেরও চেষ্টার কমতি নেই। তাঁরা নিজেদের পরিশ্রমটা বাড়িয়ে দেন বহুগুনে, তুলে নিয়ে আসেন নতুন সব বৈচিত্র। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও যে বোলারদের দাপট থাকতে পারে তা অনেকেই করে দেখিয়েছেন। তবে এই তালিকাটা তাঁদের নিয়ে যারা এই কঠিন কাজটা করেছেন বিশ্বকাপের মত বড় আসরে। একটি নির্দিষ্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তাঁরা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বলা হয়ে থাকে ব্যাটসম্যানদের খেলা। ব্যাটসম্যানদের জন্য সাজানো মঞ্চে চার ছয়ের ফোয়ারা দেখতে আসেন দর্শকরা। ব্যাটসম্যানরা ফরম্যাটটাকে নিজেদের প্রমাণ করতে আবিষ্কার করে যাচ্ছেন নতুন সব শট। সেইসব নতুনে আরো রঙিন হয়ে উঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

ব্যাটসম্যানদের সেসব নতুনকে ঠেকাতে বোলারদেরও চেষ্টার কমতি নেই। তাঁরা নিজেদের পরিশ্রমটা বাড়িয়ে দেন বহুগুনে, তুলে নিয়ে আসেন নতুন সব বৈচিত্র। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও যে বোলারদের দাপট থাকতে পারে তা অনেকেই করে দেখিয়েছেন। তবে এই তালিকাটা তাঁদের নিয়ে যারা এই কঠিন কাজটা করেছেন বিশ্বকাপের মত বড় আসরে। একটি নির্দিষ্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তাঁরা।

  • উমর গুল (পাকিস্তান)

সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের সফলতম পেসারদের একজন ছিলেন উমর গুল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও পাকিস্তানের হয়ে তাঁর আছে নানা অর্জন। তবে সবচেয়ে বড় ক্যারিশমটা দেখিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। সেবার পাকিস্তানের এই পেসার একাই তুলে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। এটা নির্দিষ্ট কোন বিশ্বকাপে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট।

  • উমর গুল (পাকিস্তান)

আবারো উমর গুলের নাম দেখে অবাক হবারই কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর আসর গুলোতেও তেমনই এক অবাক করা নাম ছিলেন উমর গুল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দ্বিতীয় আসরে কৃতিত্বটা ধরে রেখে ছিলেন নিজের কাছেই।

২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও উমর গুল ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এই আসরেও তুলে নেন ১৩ টি উইকেট। ফলে তালিকার চতুর্থ অবস্থানেও তিনিই আছেন।

  • ডার্ক ন্যানেস (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মাত্র দুই বছর। তবুও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের সবচেয়ে সফল বোলার ডার্ক ন্যানেস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মোট ১৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই থেমে গিয়েছিল তাঁর ক্যারিয়ার। সেখানে ১৬.৩৯ গড়ে তুলে নিয়েছিলেন ২৮ উইকেট।

ওদিকে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসা সেই আসরে মাত্র ১৩.০৭ গড়ে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। বিশ্বকাপের একটি আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ডার্ক ন্যানেস।

  • অজন্তা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার অন্যতম সফল বোলার অজন্তা মেন্ডিস। দেশটির হয় মাত্র ৩৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও তাঁর ঝুলিতে আছে ৬৬ উইকেট। বোলিং করেছেন মাত্র ১৪.৪২ গড়ে।

এছাড়া ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তিনি। সেই আসরে মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই এই কীর্তি গড়েছিলেন। মাত্র ৯.৮০ বোলিং গড়ে তুলে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। ওই আসরে একবার ৬ উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি।

  • ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উপরের সবার রেকর্ড চুরমার করে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই লেগ স্পিনার। এবারের বিশ্বকাপ এখনো শেষ হয়নি। তবে এর মধ্যেই তালিকার সবার উপরে উঠে এসেছেন তিনি। এই আসরে এখন পর্যন্ত ৮ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেখানে ওভার প্রতি রান খরচ করেছেন মাত্র ৫.২০।

এছাড়া প্রতিটি উইকেট নেয়ার জন্য দিয়েছেন মাত্র ৯.৭৫ রান। এই বিশ্বকাপে যেন তাঁকে খেলতেই হিমসিম খাচ্ছে ব্যাটসম্যানরা। সবমিলিয়ে এখন অবধি নিয়েছেন ১৬ উইকেট। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে হয়তো সংখ্যাটা আরো একটু বাড়িয়ে নিবেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...