এশিয়া কাপের মাঝপথে বাড়ি ফিরবেন মুশি

ইনজুরিতে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন, দলের সঙ্গে শুরু থেকে যোগ দিতে পারেননি লিটন দাস, আরো বড় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছিল নাজমুল হোসেন শান্তের চোট। ইনফর্ম এই ব্যাটসম্যানকে তাই সুপার ফোরের আগেই ফিরতে হয়েছিল দেশে।

দুঃসংবাদের এই রীতি এখানেই থেমে থাকে নি; মুশফিকুর রহিমকে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নাও পেতে পারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন তিনি। শোনা গিয়েছে পারিবারিক কারণে জরুরি ছুটি নিতে হয়েছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে।

মূলত, সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই জাতীয় দলকে আপাতত বিদায় বলবেন মুশফিক। ভারতের বিপক্ষে মুশফিক থাকবেন কি না সেটা অবশ্য এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। স্ত্রীর শারিরীক এবং মানসিক অবস্থার উপর হয়তো নির্ভর করবে মুশফিকের ফেরা। আপাতত তাই অপেক্ষা করতেই হবে পুরো দেশকে।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে পাকিস্তানের বিধ্বংসী পেস ত্রয়ীর বিরুদ্ধে তেমন কিছু করতে পারেনি টিম টাইগার্স। অবশ্য অন্যদের ব্যর্থতার দিনে খানিকটা প্রতিরোধ করেছিলেন মুশফিকুর রহিমই, সাকিবকে নিয়ে গড়েছিলেন শতরানের জুটি।

শেষপর্যন্ত পাঁচ চারে ৮৭ বলে ৬৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন মুশফিকুর রহিম; সেই ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকই ছিলেন তিনি। পুরো এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১০২ রান করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। অভিজ্ঞতা আর ফর্ম ফিলিয়ে তাই নিশ্চিতভাবেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলা যায় তাঁকে।

সেজন্যই ফাইনালে ওঠার কঠিন লড়াইয়ে মুশফিককে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু এই তারকাকে এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর পরিবারের; ক্রিকেটারদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে সেই সত্য মেনেই হয়তো মুশফিককে ছাড়া ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

২০০৭ সালের বিশ্বকাপ কিংবা ২০১২ সালের এশিয়া কাপে ভারতকে হারানোর ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে তিনি না থাকলে জেতাটা কঠিন থেকে আরো কঠিনতর হবে বাংলাদেশের জন্য। যদি মুশফিক না থাকেন, তবে সেই কাজটাই করবে দলের বাকিরা, সেটাই এখন প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link