নিন্দুকেরা বলেন, প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠতে পারেন না মুস্তাফিুজুর রহমান। দেশের হয়ে যখন খেলেন, তখন নিজেকে উজাড় করে দিতে জানেন না মুস্তাফিজ। তবে, মঞ্চ যখন বিশ্বকাপ তখন যেন নিজের সকল সমালোচনার জবাব দিতেই নেমেছেন দ্য ফিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট। যতটুকু সময় বোলিং করেছেন, তিনি ছিলেন নিজের সুদিনের সেই মায়াবী মুস্তাফিজ হয়েই। আর ডেথ বোলিংয়ের কথা তো না বললেই নয়, লঙ্কান ইনিংসের যে বড় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ছিল – তার পুরোটাই নষ্ট করে দিয়েছেন এই মুস্তাফিজ।
আক্ষরিক ভাবেই, নাগিন ডার্বির বীন বাজিয়েছেন মুস্তাফিজ। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৪৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। মানে রানরেট প্রায় ওভারপ্রতি ১০ রান। এরপরই মুস্তাফিজের আগমন, আর শ্রীলঙ্কার পতনের শুরু। পরের নয় ওভারে মাত্র ৫২ রান করে শ্রীলঙ্কা। উইকেট হারায় দু’টি।
আর শেষ ছয় ওভারে অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ, সেখানে রান আসে মাত্র ২৪, শ্রীলঙ্কা উইকেট হারায় ছয়টি। শেষ আট ওভারে বাংলাদেশ বাউন্ডারি হজম করেছে মাত্র একটা।
এমন পরিণত বোলিং সম্ভব হয়েছে মুস্তাফিজের সুবাদে। চার ওভার বোলিং করে তিন উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৭ রান গুণে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে ফিরে তিনি অবশ্য মন্দ করেননি একেবারেই।
যুক্তরাষ্টের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেই ছিল তাঁর পাঁচ উইকেট। এবার তারই ধারাবাহিকতা তিনি রাখলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র চার বাউন্ডারি।
বিশ্বকাপে দারুণ শুরুর পর মুস্তাফিজের সামনে এখন পুরোটা সময় এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে পারলেই সময়টা সুন্দর হতে পারে বাংলাদেশের।