নাঈমকে মাটিতে ফেলে দিলেন নাঈম!

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গেল চট্টগ্রাম টেস্টেই ফিরেছিলেন অনেকদিন বাদে, সেটাও আবার হত না যদি না মেহেদী হাসান মিরাজ ফিট থাকতেন। ফিরেই করেছিলেন স্মরণীয় বোলিং। কিন্তু, ভাগ্য আর সহায় হয়নি। এমনই এক আঙুলের ইনজুরি বাঁধিয়ে বসলেন যে ঢাকা টেস্টটা আর খেলাই হল না।

চাইলে ভাগ্যকে দুষতেই পারেন নাঈম হাসান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গেল চট্টগ্রাম টেস্টেই ফিরেছিলেন অনেকদিন বাদে, সেটাও আবার হত না যদি না মেহেদী হাসান মিরাজ ফিট থাকতেন। ফিরেই করেছিলেন স্মরণীয় বোলিং। কিন্তু, ভাগ্য আর সহায় হয়নি। এমনই এক আঙুলের ইনজুরি বাঁধিয়ে বসলেন যে ঢাকা টেস্টটা আর খেলাই হল না।

তবে, নাঈম অবশ্য ‘হায়হায়’ করে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার মত ছেলেই নন। তিনি ভাগ্যের চেয়ে বেশি ভরসা করেন নিজের কর্মের ওপর। ভাগ্যের দোলাচলকে পাশ কাটিয়ে নাঈম মনোযোগী হয়েছিলেন নিজের অনুশীলনেই।

চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসেছেন বাংলা টাইগার্সের অনুশীলনে। আঙুলের ইনজুরিও প্রায় সারতে চলেছে। নেটে নিয়মিতই বোলিং করছেন এখন। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গেলেই তাঁর দেখা মেলে।

তবে, এবার তাঁর সাথে আরো এক দফা দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ঘটলো। সেই ঘটনায় নাঈমের সঙ্গী আরেক নাঈম – মানে নাঈম ইসলাম। হ্যাঁ, জাতীয় দলের এক সময়কার তারকা অলরাউন্ডার ও এই সময়ে ফেরার লড়াইয়ে থাকা নাঈম ইসলামের কথাই বলছি।

রোজকার মত চলছিল বাংলা টাইগার্সের অনুশীলন। মিরপুর শেরে বাংলার ইনডোর মাঠে। প্রতিদিন যেমন হয় আর কি। অন্য সব দিনের মত ঘাম ঝরাচ্ছিলেন সবাই।

নেট সেশনে ব্যাটিংয়ে তখন নাঈম ইসলাম। বোলিং করছিলেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। তখনই ‘ছক্কা নাঈম’ খ্যাত নাঈম ইসলামের একটা শট গিয়ে আঘাত হানে নাঈম হাসানের পায়ে। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পরে্ন তরুণ এই তারকা।

অন্যদিকে ব্যাটিং প্রান্তে থাকা আরেক নাঈম তখন বিব্রত। সবাই মিলে ঘিরে ধরলেন নাঈম হাসানকে। তুলে ধরে একটা জায়গায় বসানো হল। শুরুতে মনে হয়েছিল অবস্থাটা বেশ বেগতিক। হয়তো, লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরেই চলে যেতে পারতেন। নাঈম হাসানের মুখভঙ্গীও সেই কথাই বলছিল।

নাঈম হাসান পরে আর বোলিংয়ে ফেরেননি। প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি বিশ্রামেই ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্রে জানা যায়, নাঈমের এই চোট মারাত্মক কিছু নয়। বিশ্রাম নিলেই হয়তো কাল থেকেই নিয়মিত অনুশীলনে তিনি ফিরে আসতে পারবেন।

যাক, এবার অন্তত অল্পের ওপর দিয়েই ফাঁড়াটা কাটলো নাঈমের। হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারে হয়তো বাংলাদেশের ক্রিকেটও। কারণ, বারবার ইনজুরিজনিত কারণে পুরোশক্তির দল খেলতে না পারার খেসারত প্রায় দিতে হয় আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...