‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাবেন নাঈম-সোহান!

'এ' দল উড়াল দেবে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে বাংলাদেশ এ দল ছাড়াও, পাকিস্তান শাহিনস ও নেপাল এ দল অংশ নেবে। 

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই। শেষ ২০০৮ সালে তাসমান পাড়ের দেশটিতে পা রেখেছিল টাইগাররা। এবার বাংলাদেশের ছায়া দল যাচ্ছে অজিদের ভূমিতে। গেল বছরের মত বহুদলীয় এক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

সেই দলে দুই নাঈম ছাড়াও আরও বেশকিছু পরিচিত মুখ পাচ্ছেন সুযোগ। অজি কন্ডিশনের অভিজ্ঞতা আহরণ করাই এ সফরের মূল লক্ষ্য। সেই দলে নাঈম শেখ থাকছেন- সেটা প্রায় নিশ্চিত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা বলের দলে থাকলেও নাঈম খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি।

নির্বাচকরা নাঈম শেখকে আরও সুযোগ দিতে চান বলেই তাকে রাখা হচ্ছে ‘এ’ দলের স্কোয়াডে। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত চরিত্র নুরুল হাসান সোহানকেও দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে। এসব কিছু অবশ্য নির্ধারিত হবে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য প্রস্তুতি ম্যাচের পর। প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে নির্বাচকরা যাচ্ছেন চট্টগ্রামে।

 

সেখানে মিজানুর রহমান বাবুল ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দের নিয়ে ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আর উদীয়মান ক্রিকেটারদের একটা মিশ্রণ দেখা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া সফরে। জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া আফিফ হোসেন ধ্রুবকেও রাখা হতে পারে স্কোয়াডে।

এছাড়া সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, রিপন মণ্ডলদের দেখা যেতে পারে। তবে এই মুহূর্তে চট্টগ্রামের ক্যাম্পে আছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, ইফতেখার ইফতি, মাহফিজুর রাব্বি, আকবর আলি, জিসান আলম, তোফায়েল আহমেদ ও রাকিবুল হাসানরা।

মোদ্দাকথা জাতীয় দলের পাইপলাইন ও দলের আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়েই গঠিত হবে ‘এ’, সেই দল উড়াল দেবে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে। ১৪ থেকে ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি। সেখানে বাংলাদেশ এ দল ছাড়াও, পাকিস্তান শাহিনস ও নেপাল এ দল অংশ নেবে।

টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পর চারদিনের ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে। সে ম্যাচ খেলার উদ্দেশ্যে লাল বলের অনুশীলন করছেন নাঈম হাসান, অমিত হাসান, শাহাদাত হোসেন দীপু ও পেস বোলার মোহাম্মদ এনামুল। মিরপুরে এদের অনুশীলন তদারকি করছেন আরেক দেশী কোচ সোহেল ইসলাম।

বাংলাদেশের ‘এ’ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরকে বেশ গুরুত্বের সাথে আমলে নেওয়া হয়েছে। পাইপলাইন পোক্ত করা ও জাতীয় দলের জন্যে খেলোয়াড় প্রস্তুত করাই মূল উদ্দেশ্য। বৈরি কন্ডিশনে খেলোয়াড়দের ঝালিয়ে নেওয়া গেলে প্রয়োজনের মুহূর্তে তারা হয়ে উঠতে পারেন ‘এক্স ফ্যাক্টর’।

Share via
Copy link